কাউনিয়ায় বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল দুই মোটরসাইকেল আরোহীর
Published: 12th, May 2025 GMT
ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার দুই যুবক নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- বেলাল হোসেন (৩৫) ও সঞ্জয় কুমার রায় (২৭)। বেলাল হোসেন ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রকানা মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। সঞ্জয় রায় একই উপজেলার কবির মামুদ খামারটারী এলাকার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। তারা দুইজনেই বিবাহিত।
রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার বড়াইল ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত সঞ্জয়ের চাচা সুমন কুমার রায় বলেন, সঞ্জয় ও বেলাল একই মোটরসাইকেলে চড়ে রংপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা বড়াইল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা শাহ আলী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যায়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কাউনিয়া থানায় নিয়ে যায়। আমরা খবর পেয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ি থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে দুর্ঘটনাটি আমার এলাকায় নয়। কাউনিয়া থানার পুলিশ বিষয়টি জানেন।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে দুইজন মোটরসাইকেল আরোহীর সংঘর্ষ হয়। সেখানে বাস উল্টে গিয়ে পাশে পড়ে। বাসের কোনো যাত্রীর ক্ষতি হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন মারা যায়। পরে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র স ঘর ষ ক উন য দ ইজন
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া দিতে দেরি, ভাড়াটিয়ার ওপর বাড়ির মালিকের হামলা
গোপালগঞ্জে বাসা ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় ভাড়াটিয়ার ওপর বাড়ির মালিক হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের কমিশনার রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- শেখ রাব্বি ইসলাম (১৭) ও তার দাদা ইদ্রিস আলী শেখ (৬৫)।
আহত রাব্বি ইসলামের মা পারুল বেগম জানান, প্রায় চার মাস আগে শহরের কমিশনার রোডের কেয়া বেগমের বাসা ভাড়া নেন তিনি। নতুন বাসায় ওঠার পর থেকে প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করে দিতেন। কিন্তু, এই মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ না করায় পারুল বেগমের সঙ্গে বাড়ির মালিক কেয়া বেগমে কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় পারুল বেগমের ছেলে রাব্বি তার দাদাকে ডাকতে গেলে কেয়া বেগম ফোন করে লোকজন জড়ো করেন। রাব্বি ফিরে এলে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় রাব্বির দাদা ইদ্রিস আলী শেখ ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এতে রাব্বি ও তার দাদা ইদ্রিস আলী শেখ আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক কেয়া বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবতাফ জিলানী বলেন, ‘‘রাব্বির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’’
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘‘এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/বাদল/রাজীব