কুষ্টিয়ায় ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২
Published: 20th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য একটি মোটরসাইকেলে থাকা আরো দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কের বিজিবি সেক্টর সংলগ্ন যোগীপোল এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ীয়া এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রাব্বি (৩৫) ও একই এলাকার বাবলুর ছেলে তুষার (৪২)। আহতরা হলেন প্রশান্ত ও পরিমল।
আরো পড়ুন:
মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বিক্ষুব্ধ জনতার বাসে আগুন
গাছে অটোরিকশার ধাক্কা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও ব্যবসায়ী নিহত
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মিরপুর বিজিবি সেক্টর থেকে ১০০ গজ পূর্বে যোগীপোল নামক স্থানে কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুরগামী বালু বোঝাই একটি ড্রাম ট্রাক মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়াগামী দুইটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এসময় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী মোটরসাইকেল দুইটির চার আরোহীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তুষার ও রাব্বি মারা যান।
মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় চারজন আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ড্রাম টাকটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি