রেডিও ক্যাপিটাল ৯৪.৮ এফএমের ব্যবস্থাপনায় ইউটিউবে যাত্রা শুরু করল ‘ক্যাপিটাল ড্রামা’ ও ‘ক্যাপিটাল মিউজিক’ নামের দুটি চ্যানেল। এ চ্যানেল দুটির জন্য রেডিও ক্যাপিটাল নিজস্ব নাটক ও মিউজিক কন্টেন্ট তৈরি করবে।

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৫ নম্বর হলে কেক কেটে চ্যানেল দুটির উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মিডিয়া অ্যাডভাইজর আবদুল বারী এবং সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান মান্না, হেড অব রেডিও ক্যাপিটাল আনোয়ারুল আলম সজল এবং নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ কলাকুশলীরা।

অনুষ্ঠানে মাসুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘‘পড়াশোনা ও খেলাধুলার পাশাপাশি চিত্তবিনোদনের জন্য যে জগতটা আমাদের রয়েছে সেটা নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রামা ও ক্যাপিটাল মিউজিক নামে দুটি চ্যানেল শুরু করতে যাচ্ছি। এ যাত্রার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হতে আজকের এ অনুষ্ঠান।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘পার্শ্ববর্তী দেশ এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছে। নাটকের জায়গা থেকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে আছি। এই ধারাটাকে আরো শক্ত স্থানে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনাকে সামনে রেখে এই পথচলা। আশা করছি, আপনাদের সাথে নিয়ে অনেক কাজ করব।’’

অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব বলেন, ‘‘মানুষ নাটকের মধ্যে জীবনের গল্প খোঁজার চেষ্টা করে। ‘চলো হারিয়ে যাই’ সে ধরনের গল্প। যার বাস্তব রূপ দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। এর মাধ্যমে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার পাশাপাশি শিল্পী-কলাকুশলীদের কাজের পরিধি বাড়াতে সহায়তা করবে।’’

অভিনেত্রী কেয়া পায়েল বলেন, ‘‘সুস্থ-ধারার বিনোদনে বসুন্ধরা এগিয়ে এসেছে, আরো বেশি নাটক বানাবে; এ খবর আমাদের আশান্বিত করে।’’

অনুষ্ঠানে রেডিও ক্যাপিটালের চারটি নাটক ও দুটি মিউজিক ভিডিও আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়। এর মধ্যে ‘প্রিয় প্রজাপতি’ নাটকে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিণ। ‘চলো হারিয়ে যাই’ নাটকে অভিনয় করেছেন তৌসিফ, তটিনী, আবুল হায়াত ও দিলারা জামান। ‘মিথ্যা প্রেমের গল্পে’ অভিনয় করেছেন জোভান ও নাজনিন নিহা। আর ‘অনেকদিন পরে’ অভিনয় করেছেন মুশফিক আর ফারহান ও কেয়া পায়েল।

জাকারিয়া শৌখিন পরিচালিত ‘প্রিয় প্রজাপতি’ প্রচারিত হবে ঈদুল আজহার পরদিন সন্ধ্যা ৬টায়। ঈদের পর আসবে নতুন দুটি নাটক। নাটক দুটি নির্মাণ করবেন শিহাব শাহীন ও ভিকি জাহেদ।

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ