৩৫ কোটি টাকার প্রস্তাব ফেরালেন প্রভাস-মহেশ
Published: 3rd, June 2025 GMT
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা অভিনেতা প্রভাস ও মহেশ বাবু। আলাদা আলাদাভাবে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অর্থ, যশ-খ্যাতিও পেয়েছেন। নীতিগত জায়গায় আপসহীন এই দুই তারকা। মোটা অঙ্কের অর্থের প্রস্তাব ফিরিয়ে তারই প্রমাণ দিলেন তারা।
সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেন ‘বাহুবলি’ তারকা প্রভাসকে। ৩ দিন শুটিং করবেন। আর পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হবে ২৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা)। কিন্তু প্রভাস সরাসরি এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। বিজ্ঞাপনে কাজ করতে ইচ্ছুক নন প্রভাস। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিজ্ঞাপনে আপত্তি। কারণ এটি খুবই ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা।
প্রভাসকে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি যোগাযোগ করে মহেশ বাবুর সঙ্গে। সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন মহেশ বাবু। কিন্তু মহেশ বাবু একই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। কারণ কোম্পানির কোনো একটি প্রজেক্ট ব্যর্থ হলে সমস্যা হবে। এতে করে ক্যারিয়ারের ক্লিন ইমেজে দাগ লাগবে। ফলে মহেশ বাবুও ৩৫ কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
এর আগে বেশ কজন তারকা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে আইনি জটিলতায় পড়েছেন। ফলে এ বিষয়ে খুবই সচেতন প্রভাস-মহেশ।
প্রভাস অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কল্কি’। গত বছর মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে পাঁচটি সিনেমার কাজ। এগুলো হলো— ‘কানপা’, ‘দ্য রাজা সাব’, ‘ফৌজি’, ‘সালার টু’।
মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা।
মহেশ বাবুর পরবর্তী সিনেমা পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি। আপাতত সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে ‘এসএসএমবি২৯’। আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা এটি। সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রস ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. আরিফুল। শুক্রবার বেলা এগারোটার দিকে তিনি ভবন থেকে পড়ে যান বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিংতম বলেন, বেলা এগারোটার দিকে কয়েকজন ওই শ্রমিককে নিয়ে আসেন। অবস্থা গুরুতর দেখে তখনই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নির্মাণাধীন ভবনটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোমিনুল করিম শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু শ্রমিক ওই ভবনে থাকেন। দুপুরের দিকে তিনি জানতে পারেন একজন শ্রমিক ভবন থেকে পড়ে গেছেন। তাঁকে এনাম মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সন্ধ্যাবেলায় তাঁকে জানানো হয় ওই শ্রমিক মারা গেছেন।
তবে এনাম মেডিকেলের ডিউটি ম্যানেজার সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর থেকে একজন রোগীকে আনা হয়েছিল। উনি ছাদ থেকে পড়ে গেছেন বলে জানানো হয়। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান।
শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আধা ঘণ্টা আগে খবর পেয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এমন একটি ঘটনা আমাদের আগে জানানো হয়নি কেন, তা জিজ্ঞাসা করেছি। বিষয়টি প্রো-ভিসি (এডমিন) দেখছেন।’