ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা অভিনেতা প্রভাস ও মহেশ বাবু। আলাদা আলাদাভাবে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। দর্শকদের মুঠো মুঠো ভালোবাসা যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অর্থ, যশ-খ্যাতিও পেয়েছেন। নীতিগত জায়গায় আপসহীন এই দুই তারকা। মোটা অঙ্কের অর্থের প্রস্তাব ফিরিয়ে তারই প্রমাণ দিলেন তারা।

সিয়াসাত ডটকমের তথ্য অনুসারে, সম্প্রতি একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেন ‘বাহুবলি’ তারকা প্রভাসকে। ৩ দিন শুটিং করবেন। আর পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হবে ২৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা)। কিন্তু প্রভাস সরাসরি এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। বিজ্ঞাপনে কাজ করতে ইচ্ছুক নন প্রভাস। বিশেষ করে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির বিজ্ঞাপনে আপত্তি। কারণ এটি খুবই ঝুকিপূর্ণ ব্যবসা। 

প্রভাসকে না পেয়ে প্রতিষ্ঠানটি যোগাযোগ করে মহেশ বাবুর সঙ্গে। সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছেন মহেশ বাবু। কিন্তু মহেশ বাবু একই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। কারণ কোম্পানির কোনো একটি প্রজেক্ট ব্যর্থ হলে সমস্যা হবে। এতে করে ক্যারিয়ারের ক্লিন ইমেজে দাগ লাগবে। ফলে মহেশ বাবুও ৩৫ কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। 

এর আগে বেশ কজন তারকা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে আইনি জটিলতায় পড়েছেন। ফলে এ বিষয়ে খুবই সচেতন প্রভাস-মহেশ। 

প্রভাস অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘কল্কি’। গত বছর মুক্তি পায় এটি। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে পাঁচটি সিনেমার কাজ। এগুলো হলো— ‘কানপা’, ‘দ্য রাজা সাব’, ‘ফৌজি’, ‘সালার টু’। 

মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। 

মহেশ বাবুর পরবর্তী সিনেমা পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি। আপাতত সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে ‘এসএসএমবি২৯’। আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা এটি। সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল

মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর)  বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।” 

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”

এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ঢাকা/চন্দন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ