সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে যে ফরম্যাশনে খেলতে পারে বাংলাদেশ
Published: 10th, June 2025 GMT
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আজ সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্যেই নামবে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। ভারত ও ভুটানের বিপক্ষে দুই ভিন্ন ধরনের ম্যাচের পর এবার বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজাচ্ছেন কোচ কাবরেরা। সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন, অভিষেক হতে যাচ্ছে কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার শমিত সোমের।
কাবরেরা বরাবরের মতোই পছন্দের ৪–২–৩–১ ফর্মেশনেই মাঠে নামাতে পারেন দলকে। যেটি মূলত রক্ষণ নির্ভর। ভুটানের বিপক্ষেও এই ছকে শুরুর একাদশ বানিয়েছিলেন। সেন্টার ফরোয়ার্ড রেখেছিলেন শুধু রাকিব হোসেনকে।
তবে মিডফিল্ডে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে দেখা যেতে পারে ভিন্ন কিছু। দলের রক্ষণভাগ প্রায় চূড়ান্ত হলেও, মাঝমাঠে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত। শমিত সোম কে দেখা যাবে ডাবল পিভটের ভূমিকায়, যেখানে তার সঙ্গী হবেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। এর ফলে স্কোরার হওয়া সত্ত্বেও সোহেল রানার জায়গা হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তেমনটা হলে আজ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আক্রমণভাগের নাম্বার নাইন পজিশনে বসুন্ধরা কিংসে খেলা রাকিব হোসেনকে রেখে দুই উইংয়ের ফাহমিদুল ইসলাম এবং শাহ কাজেম বা মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে দিয়ে শুরুর একাদশ সাজাতে পারেন কাবরেরা।
তবে শমিত সোম যোগ দেওয়ায় মাঝমাঠ নিয়ে মধুর বিড়ম্বনায় পড়েছেন কোচ। ভুটান ম্যাচে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে হামজা চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল রানা আর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে জামাল ভূঁইয়াকে খেলান তিনি। শমিত আসায় মাঝমাঠ পরিবর্তন করা ছাড়া উপায় নেই। সে ক্ষেত্রে সোহেলকে বসিয়ে শমিতকে, আবার জামালের জায়গায়ও শমিতকে দেখা যেতে পারে। অবশ্য গোলপোস্টের নিচে মিতুল মারমার জায়গা বলা যায় নিশ্চিতই। সেন্টারব্যাকে অভিজ্ঞ তপু বর্মণ এবং তারিক কাজীও থাকছেন। রাইটব্যাক ও লেফটব্যাক পরিবর্তন আসতে পারে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৬১, সেখানে বাংলাদেশ রয়েছে ১৮৩ নম্বরে। ক্যাবরেরার লক্ষ্য এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়া। ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে খেলতে হলে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ থাকতে হবে। আর সেটা করতে গেলে অবশ্যই ভারত, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ নিয়েই মাঠে নামতে হবে।
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে খুব একটা ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি ম্যাচে দুবারের দেখায় একবার ড্র আরেকবার হেরেছে লাল–সবুজের জার্সিধারীরা। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ মে জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মিতুল মারমা; তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন; হামজা চৌধুরী, শমিত শোম, কাজেম কিরমানী; মোহাম্মদ ইবরাহিম, রাকিব হোসেন, ফাহমিদুল ইসলাম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক বর র
এছাড়াও পড়ুন:
এই বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত শমিত বললেন, ‘যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি’
সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শমিত সোমের। দল হারলেও অভিষেকেই দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের পুরো সময়ে ৬টি আশাজাগানিয়া সুযোগ তৈরি করেন শমিত। তারপরও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
এ নিয়ে কিছুটা হতাশ হলেও এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্বিত শমিত। আজ ঢাকা থেকে কানাডায় ফিরে গেছেন। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামে বাংলাদেশ ফুটবল দল এবং সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো এই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার এবং খেলার এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছে। ম্যাচে আমরা যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি। তাই একটু হতাশ। তবে এই দলের অংশ হতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত।’
বাংলাদেশি মা-বাবার সন্তান শমিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচও খেলেছেন। লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবল না খেলা শমিত ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন।
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই মাঠে নামতে উন্মুখ ছিলেন। গত ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে তাঁকে বিশ্রাম দেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। যে কারণে তাঁর অপেক্ষাও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে পথচলা শুরু হলেও জয়টা দেখা হলো না।
এতে অবশ্য আফসোস নেই শমিতের। বললেন, ‘আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, বাফুফের সব সদস্য এবং অবশ্যই ভক্তদের ধন্যবাদ আমাকে এভাবে গ্রহণ করার জন্য। সবে তো শুরু হলো।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আগামী অক্টোবরে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে ম্যাচ। সেই দুই ম্যাচ খেলতে আবার ঢাকার ফিরবেন শমিত।