ইউটিউবার সাব্বির সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। তবে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই পোস্ট দিচ্ছেন। গুম হয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নও তোলা হয়।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার সমকালকে বলেন, গত ৪ এপ্রিল সাব্বিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও গুজব ছড়ানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি সাব্বিরের নিখোঁজের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর থেকে সাব্বির কারাগারে আছেন।
পুলিশ জানায়, সাব্বিরকে গত ৪ এপ্রিল ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ড নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের পর তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। বনানী থানায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় তার এক আত্মীয় এসে সাব্বিরের সঙ্গে দেখা করে যান। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির সর্বশেষ শুনানি হয়েছে গত মে মাসে।
পুলিশ আরও জানায়, সাব্বিরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বনানী থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এর মধ্যে প্রযোজক মুনতাসির মামুন গত ২৩ মার্চ জিডি করেন। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে নিয়ে সাব্বির বানোয়াট ও মিথ্যা ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তাকে ভারতের এজেন্ট আখ্যা দিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত বলে প্রচার করা হয়। জিডি তদন্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। সাব্বির সরকার তার ইউটিউব, টিকটক ও ফেসবুক আইডির মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী ও দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব প্রচার করছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
তাইওয়ানে চীনা ক্যাপ্টেনকে কারাদণ্ড
তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলের তাইনান জেলা আদালত সাগরতলের ইন্টারনেট তার কেটে ফেলার দায়ে এক চীনের নাগরিককে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম ওয়াং।
তিনি টোগোর পতাকাবাহী ‘হং তাই ফিফটি এইট’ নামক একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন। ফেব্রুয়ারিতে তাইওয়ানের কোস্টগার্ড সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে চিহ্নিত করে। পরে তদন্তে দেখা যায়, তাঁর জাহাজ থেকে ফেলা নোঙরের আঘাতে তাইওয়ান ও পেংহু দ্বীপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যদিও ওয়াং দাবি করেছেন, তিনি ইচ্ছা করে কিছু করেননি। তবে প্রসিকিউশন জানিয়েছেন, জাহাজটির চলাচল প্যাটার্ন, নেভিগেশন চার্ট ও অন্যান্য প্রমাণ ইচ্ছাকৃত ক্ষতি করার দিকেই ইঙ্গিত করে। তাইওয়ানে এ ধরনের মামলায় এটিই প্রথম দণ্ডাদেশ। খবর- বিবিসি