ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে হাসপাতালে পৌঁছেছেন বহু মানুষ। এদেরই মধ্যে আছেন পুনম প্যাটেল। তার মা রামিলা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘বিমানটি ডাক্তারদের হোস্টেলের ওপরে ভেঙে পড়ে, সেখানে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন আমার ছেলে।’ তিনি বলেন, ‘বিমান ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার ছেলে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। তার চোট লেগেছে, তবে এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।’

আজ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ১৭ মিনিটে ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি। বিমানটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল। যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি। 

বিবিসির বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এএনআইকে রামিলা জানিয়েছেন, তার ননদ ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এক ঘন্টার মধ্যে তিনি হাসপাতালে হাজির হয়েছেন।

তিনি বলেন, বিমানটি ডাক্তারদের হোস্টেলের ওপরে ভেঙে পড়ে, সেখানে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন রামিলার ছেলে পুনম প্যাটেল। রামিলা বলেন, বিমানটি ভেঙ্গে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার ছেলে দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। তার চোট লেগেছে, তবে এখন তার অবস্থা স্থিতিশীল।

এদিকে ভারতের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ বা ঘটনা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ম নট

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বকাপ জেতা ভারত নারী দলকে আইসিসি দিয়েছে ৫৪ কোটি, বিসিসিআই দিচ্ছে ৭০ কোটি

হারমানপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, শেফালি বর্মা, দীপ্তি শর্মারা এত টাকা দিয়ে কী করবেন—মজার ছলে তাঁদের এ প্রশ্ন করা যেতেই পারে।

ভারত নারী ক্রিকেট দলের জন্য সময়টা এখন বিশেষ, একই সঙ্গে ঐতিহাসিকও। গতকাল রাতে নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভারতের মেয়েরা।

বিশ্বকাপ জেতার সুবাদে আইসিসির কাছ থেকে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা) পেয়েছে হারমানপ্রীতের দল। এরপর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নারী দলকে আরও বড় সুখবর দিয়েছে।

বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫১ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার বেশি। সব মিলিয়ে এক রাতেই প্রায় ১২৫ কোটি টাকা নিশ্চিত হয়েছে নারী ক্রিকেটের নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

দেবজিৎ সাইকিয়া এএনআইকে বলেছেন, ‘জয় শাহ বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নারী ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন এনেছেন। ছেলে ও মেয়েদের সমান বেতনের (আসলে অর্থ পুরস্কার) ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ মেয়েদের টুর্নামেন্টের অর্থ পুরস্কার ৩০০% বাড়িয়েছেন। আগে এই পুরস্কার ছিল ২৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, এখন তা বাড়িয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ নারী ক্রিকেটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। বিসিসিআইও খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফসহ পুরো দলকে ৫১ কোটি রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।’

এবারের বিশ্বকাপে মোট প্রাইজমানি ছিল ১৬৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, যা মেয়েদের যেকোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ। আইসিসির পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলের পাওয়া ৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা মেয়েদের ফুটবলে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের চেয়েও ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা বেশি।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে ফিফা নারী বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। অর্থ পুরস্কার হিসেবে আলেক্সিয়া পুতেয়াস, আইতানা বোনমাতি, হেনি হেরমোসোরা পেয়েছিলেন ৫১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বকাপ জেতা ভারত নারী দলকে আইসিসি দিয়েছে ৫৪ কোটি, বিসিসিআই দিচ্ছে ৭০ কোটি