ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের সব আরোহী নিহত হয়েছেন। উড়োজাহাজটি আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এদিকে এ দুর্ঘটনার পর শোক জানিয়েছেন বলিউড তারকারা, স্থগিত করেছেন বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
আজ বৃহস্পতিবার নিজের হ্যান্ডলে শাহরুখ খান লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের দুর্ঘটনার খবর শুনে আমি ভীষণভাবে মর্মাহত.

..নিহত এবং আহত ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য আমার প্রার্থনা।’ শাহরুখ খানের পাশাপাশি আমির খানও পোস্ট করেছেন এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে।

আমির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নোট পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লেখেন, ‘আজকের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই মুহূর্তে আমাদের সমবেদনা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে থাকা উচিত। এই বিধ্বংসী ঘটনায় যাঁরা প্রভাবিত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।’

আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার পর শুধু আহত বা নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের উদ্দেশে বার্তা দিয়েই ক্ষান্ত হননি সালমান, নিয়েছেন একটি বড় পদক্ষেপ। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইন্ডিয়ান সুপার ক্রস রেসিং লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের সালমানের থাকার কথা ছিল।

দুর্ঘটনার পর বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ‘কানাপ্পা’ নামের একটি বড় বাজেটের দক্ষিণি ছবির ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে অক্ষয় কুমার ও বিষ্ণু মাঞ্চুর উপস্থিত থাকার কথা ছিল। জানা গেছে, দুই তারকাই নির্মাতাদের অনুষ্ঠান স্থগিতের পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও পড়ুনউচ্চতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতেন আমির খান৬ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ব র র দ র ঘটন র আহম দ ব দ অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফটিকছড়িতে হালদায় ভাঙন, ঝুঁকিতে হাজারো মানুষ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় হালদা নদীর পুরোনো বেড়িবাঁধের অন্তত ১৭টি স্থানে ফাটল ধরেছে। ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এর মধ্যে চারটি স্থান ভাঙনের শঙ্কায়। এতে দৌলতপুর, সুন্দরপুর, সমিতিরহাট, হারুয়ালছড়ি ও সুয়াবিল ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের বসতঘর, মাছের ঘের ও ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে এসব ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।

ফটিকছড়িতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বেশকিছু বাঁধ রক্ষা প্রকল্প হাতে নিলেও কাজ এখনো শেষ করতে পারেনি। ফলে হালদা তীরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কাটছে না।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে ২.৯৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার, ধুরুং খালের ৫ কিলোমিটার খনন ও স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সোহেল, গোলাম সরোয়ার, আমান উল্লাহ, মরিয়ম বেগমরা জানান- দৌলতপুর, মন্দাকিনী, পূর্ব সুয়াবিল, ছাদেকনগর, পূর্ব ধলই, সমিতিরহাট, আরবানিয়া, হারুয়ালছড়ি, সুন্দরপুর ও আজিমপুরসহ হালদা তীরবর্তী ১০টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরোনো বেড়িবাঁধে ভাঙনের ফলে দৌলতপুর, সুয়াবিল, হারুয়ালছড়ি ও সুন্দরপুরের অনেক বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। কারও বাড়ির কাঁচা দেয়াল দেবে গেছে। বেড়িবাঁধের ওপর গ্রামীণ মেঠোপথের অনেক স্থান ভেঙে গেছে। সড়কের পাশে লাগানো গাছপালা গোড়াসহ উপড়ে পড়েছে।

সমিতিরহাট ইউনিয়নের আরবানিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ শানেওয়াজ জানান, এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে একটি ঘর করেছি। চোখের সামনেই বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল পানির স্রোতে ঘরটি ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব জানি না।

পাউবো চট্টগ্রাম উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হালদার দুই তীরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙন মেরামতে আমরা ৩ কোটি টাকার জরুরি বরাদ্ধ চেয়েছি। সুন্দরপুর, পাঁচপুকুরিয়াসহ কয়েকটি মারাত্মক ঝুকিঁপুর্ণ স্থান স্থায়ীভাবে ব্লকের বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য দেওয়া হয়েছে। এই ভাঙন পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ জরুরি।

এদিকে বছর দুয়েক আগে ভাঙনরোধে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি বললেই চলে।

বিএনপির উত্তর জেলা আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর হালদা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন, এই খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ নয়-ছয় করে লোপাট করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ