এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে এবার বোমা আতঙ্ক, থাইল্যান্ডে জরুরি অবতরণ
Published: 13th, June 2025 GMT
ভারতের গুজরাটে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একদিন পার না হতেই এয়ার ইন্ডিয়ার আরেকটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যাত্রার মাঝপথেই বিমানটি ফিরে গেছে থাইল্যান্ডের ফুকেট বিমানবন্দরে। খবর রয়টার্সের
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফুকেট থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই৩৭৯ ফ্লাইটটি নয়াদিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। তবে উড্ডয়নের পর আন্দামান সাগরের ওপর দিয়ে ঘুরে ফের ফুকেট দ্বীপে ফিরে এসে জরুরি অবতরণ করে।
থাইল্যান্ডের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্লেনের ১৫৬ যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বোমা হামলার হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়াও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ ফ্লাইট দুর্ঘটনায় ২৪১ আরোহীসহ ২৯৪ জন নিহত হন। বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার প্লেনটি উড্ডয়নের দুই মিনিটের মধ্যে একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর ভেঙে পড়ে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।