ইসরায়েলে চালানো ইরানের মিসাইল হামলায় এক ইসরায়েলি নারী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন বহু ইসরায়েলি।

তিন ধাপে ইরানের গতকাল রাতের হামলায় কয়েকটি মিসাইল সরাসরি ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিবে আঘাত হানে। এতে অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েল।

হিব্রু সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই নারী ইরানের মিসাইলের আঘাতে গুরুতর আহন হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত দুজন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান কয়েকশ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ে। যার কিছু যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইসরায়েলে পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একটি সূত্র। পরবর্তীতে ইরান হুঁশিয়ারি দেয়, যেসব দেশ ইরানের হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করবে— এই অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।

এদিকে ইসরায়েলে ইরানের রাতভর হামলার পর আজ শনিবার সকালে দেশটির রাজধানী তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। সেখানে অন্তত দুটি ড্রোন অথবা মিসাইল আঘাত হানে। এই হামলার পরপরই বিমানবন্দরটিতে বিশাল আগুনের সৃষ্টি হয়। যা সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জ্বলছিল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল হয় ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ