অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইউটিউব কি সত্যিই ভিডিওর গতি কমিয়ে দিচ্ছে
Published: 17th, June 2025 GMT
ইউটিউব ভিডিওতে দিন দিন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এমনকি আকারে বড় ভিডিওতে একাধিকবার দীর্ঘ বিজ্ঞাপনও দেখতে হয় ব্যবহারকারীদের। তাই বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন। কিন্তু অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইউটিউব ভিডিওর গতি কমিয়ে দিচ্ছে বলে অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহার করে সহজেই বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখা যায়। তবে প্রতি মাসে অর্থ খরচ না করে গোপনে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন অনেকেই। আর তাই অ্যাড ব্লকারের ব্যবহার ঠেকাতে নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে ইউটিউব। সম্প্রতি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুজব রটেছে, অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলেই ভিডিওর স্বাভাবিক গতি কমিয়ে দিচ্ছে ইউটিউব। এ কারণে চাইলেও বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখা যাচ্ছে না।
ভিডিওর গতি কমানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউটিউব। তবে এর আগেও অ্যাড ব্লকার নিষ্ক্রিয় বা প্রিমিয়াম সুবিধা ব্যবহারে বাধ্য করতে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই অনলাইনে চলা গুজবটি সত্যি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ইউটিউব ব্যবহারকারীরা।
সূত্র: ম্যাশেবল
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ ড ওর
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণের অভিযোগে হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের
২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিচার করার দাবি তুলেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। মরক্কোর এই রাইটব্যাক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।
নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তে নিয়োজিত বিচারককে ধর্ষণের এই অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে তোলার অনুরোধ করেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। কৌঁসুলি অফিস থেকে এএফপিকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নিজের আদেশ কাঠামোর ভেতরে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর।’
আরও পড়ুননিষেধাজ্ঞা মেসির পিছু ছাড়ছে না, এবার নিষিদ্ধ হলেন তাঁর দেহরক্ষী৫৭ মিনিট আগেগত মে মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫–০ গোলের জয়ে বড় অবদান ছিল হাকিমির। পিএসজির প্রথম গোলটি ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়ের। সর্বশেষ ২০২২ বিশ্বকাপেও প্রথম আরব দেশ হিসেবে মরক্কোর সেমিফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল হাকিমির। ২০২৩ সালের মার্চে ২৪ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি অভিযোগকারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে অবস্থিত নিজের বাসায় আসার খরচ দেন। তখন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তান ছুটি কাটাতে বাইরে ছিলেন। অভিযোগকারী সেই নারী এরপর পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন এবং তখন পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। সেই নারী আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে না চাইলেও কৌঁসুলিরা হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশকে অভিযোগকারী নারী তখন জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তাঁর পরিচয়। সেই রাতে ট্যাক্সি করে হাকিমির বাসায় তিনি গিয়েছিলেন এবং ভাড়াটা পিএসজি তারকাই দেন। পুলিশকে সেই নারী বলেছিলেন, হাকিমি সম্মতি ছাড়াই তাঁর শরীর স্পর্শ করেন এবং তারপর ধর্ষণ করেন। পুলিশের এক সূত্রও তখন এএফপিকে এ কথা জানায়। এক বন্ধুকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আসতে বলেছিলেন সেই নারী। পরে সেই বন্ধু এসে তাঁকে নিয়ে যান।
আরও পড়ুনরিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চান না কোনো খেলোয়াড়, ‘বেকায়দায়’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ২ ঘণ্টা আগেকৌঁসুলিরা গতকাল হাকিমির বিচারের দাবি তোলার পর তাঁর আইনজীবী ফ্যানি কোলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এএফপি। তাঁর মতে, কৌঁসুলিদের এ সিদ্ধান্ত, ‘মামলার উপকরণ বিচারে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন। আশরাফ হাকিমিসহ আমরা শান্তই আছি এবং আমরা প্রক্রিয়ার শুরুতে ছিলাম। আমরা অবশ্যই আপিলের সব রকম পথই বের করব।’ কোলিন দাবি করেন, তাঁর মক্কেল, ‘পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার’।
অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো এএফপিকে বলেছেন, ‘এই মামলার কোনো কিছুতেই অন্যায় দাবির আলামত নেই। আমার মক্কেল এ খবরে (হাকিমিকে বিচারের সন্মুখীন করা) অনেক স্বস্তি পেয়েছে।’
গত মৌসুমে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল জয়ে দারুণ ভূমিকা ছিল হাকিমির