ইউটিউব ভিডিওতে দিন দিন বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এমনকি আকারে বড় ভিডিওতে একাধিকবার দীর্ঘ বিজ্ঞাপনও দেখতে হয় ব্যবহারকারীদের। তাই বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন। কিন্তু অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইউটিউব ভিডিওর গতি কমিয়ে দিচ্ছে বলে অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।

অর্থের বিনিময়ে ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহার করে সহজেই বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখা যায়। তবে প্রতি মাসে অর্থ খরচ না করে গোপনে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করেন অনেকেই। আর তাই অ্যাড ব্লকারের ব্যবহার ঠেকাতে নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে ইউটিউব। সম্প্রতি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুজব রটেছে, অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলেই ভিডিওর স্বাভাবিক গতি কমিয়ে দিচ্ছে ইউটিউব। এ কারণে চাইলেও বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখা যাচ্ছে না।

ভিডিওর গতি কমানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ইউটিউব। তবে এর আগেও অ্যাড ব্লকার নিষ্ক্রিয় বা প্রিমিয়াম সুবিধা ব্যবহারে বাধ্য করতে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই অনলাইনে চলা গুজবটি সত্যি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ইউটিউব ব্যবহারকারীরা।
সূত্র: ম্যাশেবল

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ড ওর

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ: বাসচালকের সহযোগী গ্রেপ্তার

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি লিটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। লিটন মামলার প্রধান আসামি বাসচালক সাব্বির মিয়ার সহযোগী (হেলপার)। 

সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জালালপুর এলাকা থেকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৯। আসামি লিটন (২৬) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

র‍্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে.এম শহিদুল ইসলাম জানান, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প যৌথ অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে মামলার প্রধান আসামি সাব্বির মিয়াকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা।

গত রোববার রাতে নবীগঞ্জ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে একটি চলন্ত বাসে চালক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরদিন নবীগঞ্জ থানায় মামলা করে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার একটি কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী রোববার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও বাসে ঘুমিয়ে পড়ায় সে মৌলভীবাজারের শেরপুর স্টপেজে নামে। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি লোকাল বাসে উঠে বাড়ি ফেরার সময় আউশকান্দি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় একা পেয়ে বাসচালক সাব্বির ও হেলপার লিটন চলন্ত বাসে তাকে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে তিনতালাব এলাকায় স্থানীয়রা বাসটি আটক করে। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। তবে লিটন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। 

মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য তাকে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ