উইন্ডোজে আসছে কোপাইলট ভিশন, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 20th, June 2025 GMT
উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন একটি সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট ভিশন’ নামের এ সুবিধা ব্যবহারকারীদের যন্ত্রের পর্দায় থাকা তথ্য ও ছবি পর্যবেক্ষণ করে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন সহায়তা দিতে পারবে। প্রযুক্তিটি গুগলের ‘জেমিনি লাইভ’–এর মতো কাজ করে।
মাইক্রোসফটের দাবি, কোপাইলট ভিশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ম্যানুয়াল কমান্ডের ঝামেলা ছাড়াই মুখের কথায় ছবি সম্পাদনা, অ্যাপ ব্যবস্থাপনা বা গুরুত্বপূর্ণ কাজের সারসংক্ষেপ তৈরি করতে পারবেন। কোপাইলট ভিশন মূলত মাইক্রোসফটের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহকারী ‘কোপাইলট’–এর একটি নতুন সংস্করণ। ব্যবহারকারীর সম্মতি নিয়ে এটি কম্পিউটারের স্ক্রিনে থাকা সব তথ্য পর্যালোচনা করতে পারে। এরপর ব্যবহারকারী কী কাজ করছেন বা কোন অ্যাপে কাজ চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে পরামর্শ বা সহায়তা দেবে কোপাইলট।
কোপাইলট ভিশন সুবিধাটি ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করায় ব্যবহারকারীর হাতে-কলমে কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু মুখে উচ্চারণ করলেই কোপাইলট নির্দিষ্ট অ্যাপ খোলার পাশাপাশি ছবি সম্পাদনা, তথ্য বিশ্লেষণ কিংবা মিটিংয়ের সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে। এ ছাড়া প্রতিদিনের কাজ শেষ হলে কোপাইলট ব্যবহারকারীদের সেই দিনের কাজের সারাংশ জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে কোন কোন কাজ করতে হবে, সেই তালিকাও তৈরি করে দেবে।
মাইক্রোসফটের বেশির ভাগ এআই সুবিধা এত দিন শুধু উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া গেলেও কোপাইলট ভিশন ব্যবহার করা যাবে উইন্ডোজ ১০ ও উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে। ‘কোপাইলট ল্যাবস’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করা হয়েছে সুবিধাটি।
সূত্র: নিউজ ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র উইন ড জ ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের জে-৩৫ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান কেনায় উদ্বিগ্ন ভারত
২০২৪ সালের নভেম্বরে চীন তাদের ৫ম প্রজন্মের দ্বিতীয় স্টিলথ ফাইটার জে-৩৫ উন্মোচন করে। বহুমুখী অভিযানের জন্য দুই ইঞ্জিন, একক আসনের সুপারসনিক যুদ্ধবিমনিা জে-৩৫-এ রয়েছে ইলেকট্রনিকভাবে স্ক্যান করা অ্যারে, একটি ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল টার্গেটিং সিস্টেম এবং ইনফ্রারেড সার্চ-অ্যান্ড-ট্র্যাক।
চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি করা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর তুলনায় জে-৩৫ কে বর্ণনা করেছে - আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করার শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান।
ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ৪০টি জে-৩৫ যুদ্ধবিমান কিনবে। এর প্রথম চালন চলতি বছরের শেষের দিকে হাতে পাবে পাকিস্তান। আর এই বিষয়টি ভারতের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে এনডিটিভি অনলাইন।
চায়না ডেইলি জানিয়েছে, জে-৩৫ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবস্থার সাথে ‘লক্ষ্যবস্তু শেয়ার করে নিতে’ পারে। যেমন-ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং লক্ষ্যবস্তুগুলোকে ধ্বংস করার জন্য অন্যান্য অস্ত্রকে নির্দেশ করার জন্য তার রাডার ব্যবহার করতে পারে। তবে এখানে বড় বৈশিষ্ট্য হল স্টিলথ ক্ষমতা।
জে-৩৫ এর রাডার ক্রস-সেকশন শূন্য দশমিক ০০১ বর্গমিটার বলে জানা গেছে, যা এফ-৩৫ এর সাথে তুলনীয়। এই সক্ষমতা ভারতের সাথে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের নতুন যুদ্ধবিমান সনাক্ত করা খুব কঠিন করে তুলবে। এর অর্থ সীমান্তের কাছে আসার সাথে সাথে ভারত যুদ্ধবিমানগুলো শনাক্ত করতে আরো বেশি সময় নেবে।
সাবেক ফাইটার পাইলট গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজয় আহলাওয়াত (অবসরপ্রাপ্ত) এনডিটিভিকে বলেন, “এটি উদ্বেগজনক খবর। পাকিস্তানি রঙের জে-৩৫ এর যেকোনো সংস্করণ আমাদের পক্ষে উদ্বেগ তৈরি করবে।”
ঢাকা/শাহেদ