৩ দফা দাবিতে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 3rd, July 2025 GMT
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজেই নগরের তালাইমাড়ি মোড় অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যান তারা।
এর আগে সকালে রুয়েটের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল ও সড়ক প্রদক্ষিণ করে তালাইমাড়ি মোড়ে সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- নবম গ্রেডে কোন ধরনের কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া যাবে না, এখানে বিএসসি প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিতে হবে; দশম গ্রেডে সবাইকে উন্মুক্ত করতে হবে এবং প্রকৌশল ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি লিখতে পারবেন না, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘আমাদের তিন দফার প্রথম দাবি হলো নবম গ্রেডে কোন ধরনের কোটার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে না। এখানে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দিতে হবে। ডিপ্লোমাধারীরা যদি নিয়োগ পেতে চান, তাহলে অবশ্যই বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পূর্ণ করে নিয়োগ দিতে হবে। আর দশম গ্রেডে সবাইকে উন্মুক্ত করতে হবে। এখানে সবাই আবেদন করতে পারবেন।’’
তারা বলেন, ‘‘দশম গ্রেডে আমাদেরকে কোন ধরনের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেখানে আমাদের সুযোগ দিতে হবে। এখন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়েও অনেকে প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন। এই ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি লিখতে পারবে না। ডিপ্লোমারা টেকনিশিয়ান পদবি ব্যবহার করবেন। তারা প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।”
তিন দফা দাবি আদায় না হলে পরে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। এই কর্মসূচিতে রুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের নবম দিনের আলোচনা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
আরো পড়ুন:
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন
অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
আলী রীয়াজ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজকের আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সম্পর্কিত বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত সময়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছে।”
কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন,“সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে তা হলো ‘কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত যেকোনো দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যেকোনো দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড, নীতি ও পদ্ধতি অনুসরণক্রমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করা হইবে।”
আলী রীয়াজ আশা প্রকাশ করে বলেন, “সংবিধানের ৪৯ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে ঐকমত্য কমিশন থেকে দেওয়া প্রস্তাবের আলোকে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যতে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এতদিন ধরে এই ক্ষমতার যে অপব্যবহার হয়েছে তা বন্ধ হবে।”
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে অগ্রগতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রধান বিচারপতি সময়ে সময়ে যে সার্কিট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন তার পরিবর্তে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে এবং প্রধান বিচারপতি কর্তৃক প্রতিটি বিভাগে এক বা একাধিক স্থায়ী বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের ১০০ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিবর্তন হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ৭ জুলাই পুনরায় আলোচনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ