মিডফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক শেল্টারে চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

মশাল মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ, জুলাই অভ্যুত্থানে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীপুর বাজারে শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম, জাতীয় যুবশক্তির সংগঠক নীরব রায়হান, জুলাই যোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আরমান শাফিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সঞ্চালনায় মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশাসহ নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।  

শহীদ নাদিমুল হাসান এলেমের বাবা শাহ আলম বলেন, ‘গত ১৯ জুলাই কীভাবে আমার ছেলেকে খুনি শেখ হাসিনা হত্যা করেছে। আপনারা কি চান আবার এই ঘটনা ঘটুক? আরেকটা দল এসে এমন করুক। যদি না চান এসব ঘটনার প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাতে চাই- এই নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। এই দশমাসে ১৫৪ জন মারা গেছে। আমরা আর এসব দেখতে চাই না। আমার ছেলে রক্ত দিছে, প্রয়োজনে আমি আবার রক্ত দেব। এগুলো আর করতে দেব না। সারাদেশের মানুষকে বলি, মিডিয়াকে বলি কেউ যাতে আর এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, ‘ইন্টেরিম ঘোড়ার ঘাস কাটে কিনা আমরা জানি না। জননিরাপত্তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, মাঝেমধ্যে মনে হয় এই পুলিশ ইউনূসের নয়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলব, জনগণের নিরাপত্তার কাজে সাড়ে ৩২ নাম্বার পেয়ে ফেল করেছেন। আপনারা দেখেন কারা ধর্ষণ, খুন, হামলা করে। এমন ঘটনার পরে আমরা কোনো শুদ্ধি অভিযান দেখতে পাইনি। যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে অ্যাকশন দেখান। আর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আসসালামু আলাইকুম, আপনি বিদায় নেন।’

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাটি শুক্রবার ভাইরাল হওয়ার দুইদিন আগে ঘটেছে। কিন্তু মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এগুলো সামনে আনেনি। মনে হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী সময়ে মিডিয়াগুলো হাসিনার কোল থেকে নেমে অন্য কারো কোলে উঠেছে। তাদের প্রচারণায় নেমেছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিশা বললেন, দুশ্চিন্তা দূরে রাখো...

২ / ৬তিশার এসব স্থিরচিত্র সাত হাজারের বেশি রিঅ্যাকশন এসেছে, মন্তব্য করা হয়েছে শতাধিক। ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে কেউ লিখেছেন, ‘অপূর্ব সুন্দরী’। কেউ লিখেছেন, ‘মিষ্টতায় পরিপূর্ণ’। আরিফা নামের একজন লিখেছেন, ‘পুরাই পরি একটা তুমি আপু।’ আবার কেউ লিখেছেন, ‘হাসিতে মুক্তা ঝরে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ