দলের চেয়ারপারসনকে বিনপি নেতা খোকার হুমকি, চাইলেন ক্ষমা
Published: 24th, July 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান খোকা একটি সভায় বলেছেন, শিল্পপতি শাহ আলমকে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে নমিনেশন না দিলে বিএনপির চেয়ারপারশন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করা হবে।
তার দেয়া এ বক্তব্যটি মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এনিয়ে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় উঠে।
বুধবার বিকেলে ফতুল্লার ভুইগড় সোনালী সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি দলের চেয়ারপারশনকে এ হুমকি দেন। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাসহ সাবেক একাধীক নেতাকর্মী।
অবশেষে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে তার বক্তব্যের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শুনা যায় জেলা বিএনপির সাবেক যগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা বলেন, এবার যদি ফতুল্লাকে নিয়ে কোন ষরযন্ত্র করবেন আপনাদের ছাড়া হবেনা।
এই খেলা আর খেলবেন না। জোটের খেলা এখানে চলবেনা। ধানের শীর্ষ ছাড়া এখানে আর কিছু চলবেনা। খবরদার না করে দিলাম। আপনার জোট নিয়ে আপনে থাকেন।
ফতুল্লার মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরন করেন। আপনার জোটকে আপনে অন্যত্রে নির্বাচন দেন। ফতুল্লার মানুষকে আপনে ধানের শীর্ষ ও প্রিয় নেতা শাহ আলম থেকে বঞ্চিত করবেন না।
শাহ আলমের জন্য আমরা নমিনেশন আনবো। আমরা কেন্দ্রীয় অফিসে তারেক রহমানকে ঘেরাও করবো। আমরা মহাসচিবকে ঘেরাও করবো। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঘেরাও করবো। তারপরও যদি শাহ আলমকে নমিনেশন দেয়া না হয় তাহলে আমরা আত্মহতি দিবো।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, মামলা হামলার ভয়ে আন্দোলন সংগ্রামে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে না থেকে আওয়ামীলীগ সরকার আমলে শাহ আলম ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে সেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে আত্মগোপন করেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামীলীগ দেশ ছেড়ে আত্মগোপন করার পর গুটি কয়েকজন সাবেক নেতাকর্মীদের নিয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন শাহ আলম।
এরমধ্যে শাহ আলম ফতুল্লার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরপর কয়েকটি সভা করে নির্বাচন করার ঘোষনা দেন। এনিয়ে ক্ষুদ্ধ দলীয় নেতাকর্মীরা শাহ আলমকে ফতুল্লা থেকে ধাওয়া দিতে হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হ মক ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন ত কর ম ঘ র ও কর শ হ আলম রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।
যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।
তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।
যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না।
তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।
আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।