নারায়ণগঞ্জে এই প্রথম জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত যোদ্ধাদের স্মৃতি ধরে রাখতে তাদের সমাধি সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। প্রতিটি সমাধি মার্বেল পাথর দিয়ে নামকরণ এবং বাঁধাই করে রাখা হবে।

সোমবার দুপুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে নগর ভবনে আলোচনা সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এরআগে সগর ভবন থেকে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান, প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় নগর ভবনে এসে শেষ হয়। 

এ এইচ এম কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। সিটি কর্পোরেশনের কাছে সকলের প্রত্যাশা অনেক। আমরা অঙ্গীকার করতে চাই এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে বৈষম্যহীন নাগরিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু,বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা,গণসংঘতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন সহ আরো অনেকেই। 
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীগণ। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করি নির্বাচন এলেই একটি রাজনৈতিক দল তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করে জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়।

যারা ফিৎনা তৈরি করে বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় তাদের কাছ থেকে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে। রাজনৈতিক কারণে কেউ বক্তব্য দিতেই পারে, সেটাকে স্বাগত জানাই।

তবে কেউ যেন আমাদের দ্বীনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে আজমতে সাহাবা মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখানে বয়ান করার যোগ্যতা আমার নেই। আমি এখানে এসেছি বিশিষ্ট আলেম যারা এখানে এসেছেন তাদের বক্তব্য শোনার জন্য। যারা ইসলামকে নিয়ে রাজনীতি করেনা তারা এখানে আছে।

যারা দীনকে আগে এবং দুনিয়াকে পরে মনে করেন, তারাই এখানে আছেন। একারণে আমি এখানে এসেছি। বাংলাদেশের ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা আমাদের নবীর (সাঃ) ইসলামকে বিশ্বাস করি। আমরা মওদুদির ইসলামে বিশ্বাস করি না। 

তিনি বলেন, হাসিনার সরকার ইসলাম বিদ্বেষী ছিল, মুসলিম বিদ্বেষী ছিল। তারা আলেমদের নির্যাতন করেছে। আল্লাহর হুকুমে কীভাবে তাদের রাজনীতির অবসান হয়েছে আমরা তার সাক্ষী।

আমরা যেন এমন ভাবে রাজনীতি করি যার মাধ্যমে আওয়ামী অপরাজনীতি বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশে আদর্শিক রাজনীতি কয়েম করবো আমরা।

জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জুনায়েদ আল হাবীব আল, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খানসহ হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কৃষকদের ফারমার্স কার্ড দিবে : সাখাওয়াত
  • তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে বন্দরে মহানগর বিএনপির কৃষক সভা
  • ১১২ টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনে চাকরি পেলেন ১৪ জন
  • বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে 
  • সোনারগাঁয়ের কাইকারটেক হাটে নির্বাচনী প্রচারণায় মামুন মাহমুদ 
  • রূপগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
  • তারুণ্যের চোখে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার
  • বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন না’গঞ্জ জেলা আঞ্চলিক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচন আসলেই ধর্মকে ব্যবহারের চেষ্টা দেখা যায় : সালাহউদ্দিন আহমেদ
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ