বার্জার লাক্সারি সিল্কের ওয়েডিং ড্রিমসের প্রদর্শনী
Published: 5th, August 2025 GMT
বার্জার পেইন্টস লাক্সারি সিল্ক আয়োজিত মালদ্বীপ ওয়েডিং ড্রিমসের প্রদর্শনী সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাই করা পাঁচ দম্পতিকে নিয়ে মালদ্বীপে ওয়েডিং ফটোশুট ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ক্যাম্পেইনের গ্র্যান্ড প্রিমিয়ার সম্প্রতি উত্তরায় স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। বার্জারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বার্জার লাক্সারি সিল্কের পণ্যদূত বিদ্যা সিনহা মিম, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়ার মতো তারকাদের নিয়ে গঠিত জুরিবোর্ডের সদস্যরা পাঁচ দম্পতিকে এ ফটোশুটের জন্য বাছাই করেন। নির্বাচিত এই দম্পতিরা গত ফেব্রুয়ারিতে মালদ্বীপে ফটোশুটে অংশ নেন। আর গ্র্যান্ড প্রিমিয়ারে সেসব অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি বড় পর্দায় তুলে ধরা হয়, যা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। বার্জারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মালদ্বীপে ধারণ করা ফটোশুট এপিসোড আকারে ৮, ১৫ ও ২২ আগস্ট রাত সাড়ে নয়টায় দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচার করা হবে।
এদিকে প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান শেষে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘বার্জার লাক্সারি সিল্ক তার গ্রাহকদের জীবনে অসাধারণ স্মৃতিময় মুহূর্ত তৈরিতে সব সময় নিবেদিত। আমি মনে করি, “ওয়েডিং গ্ল্যামশ্যুট” ক্যাম্পেইনটি সেই প্রতিশ্রুতিকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এটি কেবল রঙের গল্প নয়; বরং এতে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতকে একজোট হয়ে নির্বাচনে আসার পরামর্শ এবি পার্টির চেয়ারম্যানের
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা দূর করতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে একজোট হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘মাত্র ৭ বছর আগে দলীয় স্বার্থে দুই দল একই মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে। এখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একজোট হয়ে এক মার্কায় নির্বাচন করলে সমস্যা কোথায়?’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এবি শ্রমিক পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান এ কথাগুলো বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ জামাল উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রমিকবিষয়ক সহসম্পাদক আজিজা সুলতানা। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান।
বক্তব্যে মজিবুর রহমান বলেন, ‘সবার মনে শঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে আদৌ নির্বাচন হবে কি না? জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো গেলেও রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে আবার সংশয় দেখা দিয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপি ও জামায়াত একজোট হলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।’
নতুন ভূমিষ্ঠ হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের মধ্যে বিতর্কে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় দেশের অগ্রগতি থমকে গেছে বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমরাও হঠাৎ করে দ্রুত নির্বাচন ও ক্ষমতায় যাওয়ার সিদ্ধান্তে চলে যাই। এবি পার্টি মনে করে, আগে দেশকে গড়ে তোলা প্রয়োজন; তারপর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ সেটি মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করছে না।’
গণহত্যার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে যারা দায়ী, তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা এই জাতিকে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করেছে, যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণে ভূমিকা রেখেছে, তাদের প্রাসঙ্গিকভাবে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজস্ব দলীয় স্লোগান আপাতত স্থগিত রেখে জনগণের স্লোগানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেমন আমরা জুলাইয়ে করেছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নাগরিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার দিকে কাজ করে, তাহলে শ্রমিকদের জন্য বিষয়ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সহজ হবে। শ্রমিকেরাই একটি দেশ বদলে দিতে পারে। তাই শ্রমিকদের দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল হালিম নান্নু, রমনা থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী প্রমুখ।