জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ডাক টিকিট উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।

এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার, প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে, গত ২ জুলাই সরকার এক প্রজ্ঞাপনে ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা জানায়। 
আজ দেশজুড়ে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম পূর্ণমূখী চাকমা (৫৩)। তিনি প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের সদস্য বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর উপলক্ষে মিছিল বের করেন দুই পক্ষ। স্বনির্ভর বাজার থেকে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সদস্যদের মিছিলটি চেঙ্গী স্কয়ারের পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পূর্ণমূখী আহত হন। পরে চেঙ্গী স্কয়ারে ইউপিডিএফের ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে একপক্ষ। পরে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনার জন্য গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা। তিনি দাবি করেন, প্রতিপক্ষের মদদে এ হামলা হয়েছে। এ সময় তাঁদের পক্ষের এক নারী সমর্থক আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পর বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা। চেঙ্গী স্কয়ার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি সূর্যশিখা ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বক্তব্য দেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কলিন চাকমা।

হামলার অভিযোগটি অস্বীকার করে ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় নেতা অমর জ্যোতি চাকমা। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন উপলক্ষে আমাদের শোভাযাত্রা ছিল। আমরা র‍্যালি শুরু করার পরপর ওরা (ইউপিডিএফ) আমাদের ওপর হামলা করে। ইটপাটকেল ছোড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’

গোলাগুলির কোনো খবর পাননি জানিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ উত্তেজনা ছিল। পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা বিএনপির দুপক্ষের পৃথক বিজয় মিছিল, সংঘাতের শঙ্কা
  • কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ৫ আগস্টের আনন্দমিছিলে গিয়ে বিএনপি নেতার মৃত্যু
  • খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া
  • রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ৫ আগস্ট হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • ৫ আগস্ট সংবাদপত্রে ছুটি
  • ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজার
  • ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা
  • ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে সব ব্যাংক