নারী ফুটবলারকে ‘মোটা’ বলায় বরখাস্ত ফুটবল ফেডারেশন প্রধান
Published: 18th, January 2025 GMT
বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে আসছে ফিফা। সম্প্রতি লা লিগায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের ঘটনা নিয়ে ফিফার পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছিল। এবার আরেকটি ঘটনায় শাস্তি পেলেন ফুটবল সংস্থার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
নারী ফুটবলার মার্তা কক্সকে ‘মোটা’ বলে অপমান করায় পানামার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ম্যানুয়েল আরিয়াসকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে ফিফা। এএফপি’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।
২০২৩ সালের মার্চে পানামা জাতীয় দল ও তুরস্কের ক্লাব ফেনেরবাচের ফুটবলার মার্তা কক্স পানামার নারী ফুটবলের অবকাঠামো নিয়ে সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নারী ফুটবলারদের পর্যাপ্ত বেতন দেওয়া হয় না, মাঠ ও অনুশীলনের সুযোগও সীমিত।
কক্সের সমালোচনা ভালোভাবে নেননি আরিয়াস। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কক্সকে ‘মোটা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘সে এখন আকারের বাইরে চলে গেছে। মোটা হওয়ার কারণে মাঠে নড়াচড়া করতেও পারে না।’
এ মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কক্স প্রকাশ্যে আরিয়াসের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান এবং তা না হলে জাতীয় দল ছাড়ার হুমকি দেন। বিষয়টি নজরে আসে ফিফার। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এই মন্তব্যকে আপত্তিকর ও অসম্মানজনক বলে উল্লেখ করে ম্যানুয়েল আরিয়াসকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করে।
শাস্তি প্রসঙ্গে আরিয়াস নিজের মন্তব্যকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে স্বীকার করেছেন এবং ফিফার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। এই ঘটনায় ফিফার পক্ষ থেকে নারী ফুটবলের প্রতি আরও সহমর্মিতা ও সম্মান দেখানোর বার্তা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র ফ টবল র ফ টবল র আর য় স
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫