মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ
Published: 3rd, November 2025 GMT
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দলের একাংশের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার রাত আটটায় গাংনী উপজেলা শহরে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এ বিক্ষোভ করেন মনোনয়নবঞ্চিত জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদের অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভে শতাধিক নেতা–কর্মী অংশ নেন। বিক্ষোভের কারণে কিছু সময়ের জন্য শহরের যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, মেহেরপুর–২ আসনে যিনি বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন দলীয় কার্যক্রমের বাইরে ছিলেন। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মনোনয়ন পরিবর্তন করে জাভেদ মাসুদকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানিয়ে গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়াল বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলেবে।
এ বিষয়ে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। যাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’