সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। 

দুদকের আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজের ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে ২৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৪৯ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৫৮২ টাকা জমা ও ৩১৬ কোটি ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৬০৮ টাকা উত্তোলন অর্থাৎ মোট ৬৬৫ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার ১৯০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। মানিলন্ডারিং সম্পৃক্ত অপরাধ, দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মুস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল, তাঁর স্ত্রী কাশমিরি কামাল এবং তাঁদের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। দুদকের পৃথক চারটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ এ আবেদনগুলো করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানজির আহমেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

লোটাস কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে বলা হয়, লোটাস কামালের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।

কাশমিরি কামালের আবেদনে বলা হয়, মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকা অর্জন করেছেন। এই অবৈধ সম্পদ তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ নামে মোট ২০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার ২০৭ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।

কাশফি কামালের আয়কর নথি তলবের আবেদনে উল্লেখ করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধভাবে অর্জিত ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকা বৈধ করতে নিজ কন্যা কাশফি কামালের নামে দেখিয়েছেন। এ ছাড়া কাশফি কামালের নামে খোলা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৮৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন।

নাফিসা কামালের আবেদনে দাবি করা হয় যে মুস্তফা কামাল তাঁর অবৈধ ৬২ কোটি ৬৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকা বৈধ করতে মেয়ে নাফিসা কামালের নামে স্থানান্তর করেছেন। এখানেও নাফিসা কামালের নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। তাঁর নামে মোট ১৮টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ
  • স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আয়কর নথি তলবের নির্দেশ