সিলেটে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীর লাশ উত্তোলন
Published: 29th, January 2025 GMT
সিলেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত সানি আহমদ নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে গোলাপগঞ্জে গুলিতে নিহত হন সানি। পরে উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট নিজ গ্রামে তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়।
নিহত সানির বাবা কয়ছর আহমদ বলেন, ‘‘সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।”
বুধবার কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমদসহ থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গোলাপগঞ্জ উপজেলার শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সানির বাবা বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ২৭ আগস্ট গোলাপগঞ্জ থানায় একটি এবং ১১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে অপর একটি মামলা থানায় রেকর্ড হয়।
ঢাকা/নূর/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ ল পগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিএনপির যোগদান
ওয়াকআউটের পর আবারো ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগদান করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কমিশনের প্রস্তাবিত সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ না নিয়ে সংলাপ থেকে ওয়াকআউট করে দলটি। তবে কিছুক্ষণ পর আবার আলোচনায় ফিরে আসে বিএনপির প্রতিনিধিদল।
আলোচনার শুরুতেই কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও ন্যায়পাল নিয়োগ সংক্রান্ত প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা আগেই বলেছি এই চার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পদ্ধতি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে বিএনপি আলোচনা করবে না।” এরপরই তারা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন।
বিএনপির বেরিয়ে যাওয়ার পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “একটি বড় দল অনুপস্থিত থাকলে এই বিষয়ে ঐকমত্য কীভাবে হবে?”
জবাবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “বিএনপি আগেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। তবে কারও অনুপস্থিতিতে আলোচনা অর্থহীন হয়ে গেলে কমিশন তা বিবেচনায় নেবে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে গঠনের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। এরপরও সাংবিধানিক ও আইন দ্বারা পরিচালিত পদগুলোতে নিয়োগ নিয়ে ভিন্ন ভাবনার প্রয়োজন নেই। এতে নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা সীমিত হবে এবং তা রাষ্ট্র পরিচালনায় জটিলতা সৃষ্টি করবে।”
পরে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল আবার আলোচনায় যোগ দেয়।
ঢাকা/এএএম/ইভা