বরগুনা পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘরে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে জাদুঘরটি ভাঙচুর করেন তারা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জাদুঘরটি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেন নেতাকর্মীরা। 

জাদুঘরটি ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুরাদ খান, বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন সোহাগ এবং বরগুনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মুরাদুজ্জামান টিপন। 

আরো পড়ুন:

১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু

বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বরগুনা পৌর পুরানো গ্রন্থাগারের ঝূঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে তৈরি করা হয়েছিল নৌকা জাদুঘর। 

বরগুনা জেলা প্রশাসনের নাজির তানসেন জানান, নদী মাতৃক দেশের এক সময়ের একমাত্র বাহন নৌকাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করানোর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বরগুনায় নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের প্রথম নৌকা জাদুঘর। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ১৬৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের নৌকার আদলে জাদুঘরটির নির্মাণ কাজ শেষ করে তৎকালীন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। এর মূল ভবন ৭৫ ফুট, প্রতিটি গলুইয়ের দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০১ ধরনের বিলুপ্ত নকশার নৌকা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল।

ওই সময় জাদুঘরটির পাশাপাশি নৌকা গবেষণাকেন্দ্র, আধুনিক লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার, শিশুদের বিনোদনের জন্য রাইড, থিয়েটার, ক্ষুদ্র ক্যাফেসহ নানা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের আশ্বাস ছিল। তবে উদ্বোধনের চার বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

দক্ষিণের পর্যটন উদ্যোক্তা আরিফুর রহমান বলেন, “বরগুনা উপকূলীয় জেলা। এই জেলার চারপাশ নদীবেষ্টিত। নৌকা আমাদের ঐতিহ্য। তবে দলীয় প্রতীক হিসেবে না দেখে ঐতিহ্য হিসেবে ভাবলে নৌকা জাদুঘরটা রাখা যেত। হয়তো নামের পরিবর্তন করে নৌকা জাদুঘরটা টিকিয়ে রাখা হলে আমাদের উপকূলের ঐতিহ্য টিকে থাকতো। বিএনপির উদ্যোগে ভেঙে ফেলা হয়েছে নৌকা জাদুঘর।”

বরগুনা জেলার ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান টিপন বলেন, “নৌকা জাদুঘরের নামে ১০ টাকা করে চাঁদা উঠানো হতো। সরকারি সম্পত্তি দখল করে নৌকা জাদুঘর করা হয়েছে। তাই জনগণ এটা ভেঙে ফেলেছে।”

যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুরাদ খান বলেন, “বঙ্গবন্ধু নৌকা জাদুঘর নাম দেওয়ার কারণে জনরোষ সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার তৈরি করার দাবি জানাচ্ছি জেলা প্রশাসকের কাছে।”

এ বিষয়ে জানতে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ দ ঘর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা

কোঝিকোড় দুর্ঘটনা (২০২০)

২০২০ সালের ৭ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি ফ্লাইট কেরালার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৃষ্টিভেজা রানওয়েতে ছিটকে পড়ে এবং দুই ভাগ হয়ে যায়। এতে ২০জন নিহত হন, আহত হন বহু যাত্রী। খারাপ আবহাওয়া, কম দৃশ্যমানতা এবং টেবলটপ রানওয়ে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ছিল।

ম্যাঙ্গালুরু দুর্ঘটনা (২০১০)

২০১০ সালের ২২ মে দুবাই থেকে আসা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ফ্লাইট ৮১২ ম্যাঙ্গালুরুতে অবতরণের সময় রানওয়ে ছাড়িয়ে একটি খাদে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জনের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। রানওয়েটি ‘টেবলটপ’ হওয়ায় দুর্ঘটনার মাত্রা ভয়াবহ হয়। টেবলটপ রানওয়ে হলো এমন একটি বিমানবন্দর রানওয়ে, যা একটি পাহাড় বা উঁচু মালভূমির ওপর অবস্থিত এবং চারপাশে গভীর খাদ বা ঢাল থাকে।

পাটনা দুর্ঘটনা (২০০০)

২০০০ সালের ১৭ জুলাই কলকাতা থেকে দিল্লিগামী অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি ফ্লাইট পাটনার একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ৫৫ যাত্রী ও ভূমিতে থাকা ৫ জনসহ মোট ৬০ জন নিহত হন। অবতরণের সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১২ জুন, ভারত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি
  • কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের পিসিআর ল্যাবে চুরি, খোয়া গেছে ৪০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ
  • কুষ্টিয়ার একমাত্র পিসিআর ল্যাবের সব যন্ত্রাংশ চুরি
  • ভারতীয় উড়োজাহাজের ভয়াবহ ১০টি দুর্ঘটনা