কারাগারে বন্দি থাকা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডির একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় আপলোড করা ওই পোস্টে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কারাগারে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট কিভাবে পেলেন সাবেক মন্ত্রী? নাকি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে?

এ নিয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ সোমবার রাতেই একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে। কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শকের (উন্নয়ন) সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার Faruk Khan নামের ফেসবুক আইডির একটি পোস্টের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করে তা কারাগারে আটক সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.

) ফারুক খান কর্তৃক প্রচার করা হয়েছে বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করছে যে, কারাগার থেকে এ ধরনের প্রচার বা ফেসবুক চালানো সম্ভব নয়। 

এত বলা হয়, তিনি বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে আটক আছেন। কারাগারে আটক কোনো বন্দির পক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ নেই। ওই আইডিটি সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের কারাগার থেকে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে অন্য কেউ বা তার আত্মীয়-স্বজন Faruk Khan নামের আইডিটি পরিচালনা করছে কিনা তা কারাদপ্তর জানে না। বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আনুরোধ জানানো হয়েছে।

ফারুক খানের ওই স্ট্যাটাস মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে তার স্ট্যাটাস শেয়ার দিয়েছেন। ফারুক খানের ফেসবুক পোস্ট দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছেন, কারাগারে থেকে তিনি কিভাবে ফেসবুক ব্যবহার করলেন, কীভাবে মোবাইল ব্যবহার করলেন? অনেকে এটা তার পোস্ট ও ব্যক্তিগত মতামত কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ১৫ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় কারা উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাহাঙ্গীর কবির সমকালকে বলেন, কারাগারে বন্দির ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং কারাগারে বসে তার ফেসবুক চালানোর প্রশ্নই আসে না। কারাগারে বসে ফেসবুক চালানো তথ্য সঠিক নয়।

সোমবার সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পর পর দুইটি পোস্ট দেন। প্রথম পোস্টে স্বশস্ত্র বাহিনীর এক প্রোগ্রামে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ খানের সাথে করমর্দন করছেন তিনি। পরের দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়েছে, ‘অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে এসেছি। জেলের চার দেয়াল আমাদের নিজ সত্তার সামনে দাঁড় করায়। অনেক কিছু বলতে চাই, কিন্তু এখন সবই বলতে পারছি না।’ তবে এই পোস্ট দেওয়ার আধাঘণ্টা পর থেকেই তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এতে আরও লেখা হয়েছে, এতটুকুই বলব, শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম কিন্তু আজকে তার হঠকারিতার জন্যই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতীত কোনো ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবে না। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ব ক মন ত র র ফ সব ক ড ফ সব ক ব যবহ র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সে আমার সমালোচক, সেই সবচেয়ে বড় ভরসা: বাঁধন

সবসময় একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে কোরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পাওয়ায় হলে হলে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। নিজের ব্যস্ততার কারণে মেয়েকে সময় দিতে পারেননি বলে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। 

আজ সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার শক্তির উৎস। আজ তার (মিশেল আমানি সায়রা) দিন। ঈদের পর থেকে এত ব্যস্ত ছিলাম যে তার সঙ্গে ঠিকভাবে সময় কাটানো হয়নি। অথচ সে পুরো সময়টা আমার হাত ধরে ছিল।’

তিনি লিখেছেন, “আমার মনে আছে, ঈদের দিন সিনেমা দেখে বাসায় ফিরে মনটা ভেঙে গিয়েছিল। হলে খুব কম লোক ছিল। তা দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। তখন সে বলেছিল, ‘মা, আজ ঈদের দিন। সবাই ব্যস্ত। বিশ্বাস করো সিনেমা দেখতে লোক আসবেই।’ আমার সঙ্গে সিনেমাটি দেখার পর সে বলেছিলে, এটা তোমার সেরা কাজগুলোর একটি।”

সবশেষে বাঁধন লিখেছেন, ‘সে আমার সমালোচক। আবার সেই সবচেয়ে বড় ভরসাও। ব্যস্ততা শেষে আজ আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। দুপুরের খাবার, কেনাকাটা, সিনেমা-সবই ছিল শুধু তার জন্য। আজকের দিনটি তার জন্য যে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি হয়ে পাশে থেকেছে।’

বলে রাখা ভালো, গতবছর একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন বাঁধন। 

প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন সানি সানোয়ার। এতে আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন, পূজা, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ