বন্দরে লিফলেট বিতরণ করায় আওয়ামীলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক
Published: 4th, February 2025 GMT
বন্দরে লিফলেট বিতরণ কালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান সুজুসহ ৪ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো বন্দর থানার কদম রসুল এলাকার মৃত আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা মশিউর রহমান সুজু (৫০) নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মৃত শুক্কুর মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা ফারুক (৪৫) বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার আনু মিয়ার ছেলে ২০নং ওয়ার্ডের সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জামান মিয়া (৪২) ও একই এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে সাইদুল মোল্লা (৪৭)। আটককৃত ৪ নেতাকর্মীকে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ৩(৯)২৪ নং মামলা আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে , কেন্দ্রের নির্দেশনায় গত ২ দিন ধরে গোপনে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০ নং ও ২৩ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে আসছিল আটককৃতরা । গত সোমবার রাতে নবীগঞ্জসহ সোনাকান্দা ও রুপালী এলাকায় লিফলেট বিতরণ কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখিত গ্যারেজে লিফলেট বিতরণ কালে জামান মিয়া ও সাইদুলকে আটক করা হয়। পরে গতকাল এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ'র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আপলোড করা হলে মুহুর্তের মধ্যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। পরে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ উল্লেখবত ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটকের বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বন্দর থানার ৩(৯)২৪ নং মামলায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন ত কর ম আটকক ত এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব