আর দশটি স্বাভাবিক রাতের মতো বুধবার ঘুমাতে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী শহর আভেলানেদার বাসিন্দারা। কিন্তু ভোরে তাদের ঘুম ভাঙে অন্যরকম গন্ধে। বাসিন্দারা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখেন, শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট্ট নদী ‘সারান্দি’র পানির রঙ হয়ে গেছে লাল। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলেন, মনে হয়েছে রক্তে ঢেকে আছে নদীটি।
একরাতের ব্যবধানে নদীর পানির টকটকে এই লাল রঙ আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে বাসিন্দাদের। এর জন্য আপাতত দূষণকে দোষ দিচ্ছেন তাঁরা। প্রকৃত কারণ জানতে নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে বুয়েনস এইরেসের আবহাওয়া বিভাগ। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সম্ভবত শিল্পখাতে ব্যবহৃত রঙ নদীতে ফেলায় পানি এমন বর্ণ ধারণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মারিয়া ডুকমলস বলেন, ‘গন্ধে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দিনের আলোতে নদীর দিকে তাকিয়ে দেখি, এটি পুরো লাল হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছিল, রক্তে নদী ঢেকে আছে। এটা ভয়াবহ।’
হুট করে নদীর পানির এমন রঙ পরিবর্তনের সঠিক কারণ জানা না গেলেও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করেছে, তীরবর্তী শিল্প কারখানা, বিশেষ করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলায় সৃষ্টি হয়েছে এমন পরিস্থিতি। সূত্র বিবিসি, স্কাই নিউজ ও এএফপি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল