ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ
Published: 9th, February 2025 GMT
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বিকেলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ সকাল থেকে উত্তেজনা চলছিল। তবে কী নিয়ে এই উত্তেজনা তা জানা যায়নি। উত্তেজনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৪ টার পর এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় সিটি কলেজের মূল ফটকের সামনে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। সিটি কলেজের মূল ফটক ভাঙার চেষ্টা করে কেউ কেউ।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। হঠাৎ করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে কলেজের ভেতরে ঢুকে মূল ফটক বন্ধ করে দেয়।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর কলেজ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঢাকার সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি৩২ মিনিট আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু
জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব্যাটে। এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।
এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২), গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/ইয়াসিন