সমকাল প্রতববেদক

সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ‘সাংস্কৃতিক সেল’ গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট এই সেলের স্মারক প্রকাশ করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এ সেলের অনুমোদন দিয়েছেন। নতুন এ সেলের সম্পাদক করা হয়েছে সালাউদ্দিন জামিল সৌরভকে।

সেলের সম্পাদক সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ সমকালকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সংস্কৃতি সবসময়ই অন্যায় এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংস্কৃতিচর্চাকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে সাংস্কৃতিক সেল গঠন করেছে। আমরা বাংলাদেশের ঋদ্ধ সংস্কৃতির সব শাখা নিয়ে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সংস্কৃতির শেকড়ের সব উপাদানকে তুলে আনা। 

আমাদের বৈচিত্র্যময় লোক সংস্কৃতি, বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি, আমাদের নাটক, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্য, চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র শিল্প, মুখাভিনয়, লাঠিখেলা, নৌকাবাইচসহ শিল্পসংস্কৃতির সব শাখার চর্চা, প্রচার এবং প্রসারের মধ্য দিয়ে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা গঠনে আমরা নিরলস কাজ করে যাবো। তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাব দুর্বার গতিতে।

সেলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন রাদমান হোসেন অনুপ, ঐতিহ্য আনোয়ার ওহী, উচথোয়াই মারমা, মো.

সাইফুল্লাহ, শাকিবুল হাসান, মেহেরুন মিম, সাদিয়া ইয়াসমিন ঐতিহ্য, ফারহানা ইয়াসমিন, দেশ রহমান সাজিদ, রাঈদ হোসেন, রেজোয়ানা এ্যলমি সামিয়া, জান্নাতুল ফেরদৌস জুসি, তাহমিদ শাহরিয়ার, মারুফ হোসেন প্রান্ত, রিয়াজুর রহমান, আবির মোহাম্মদ মইন উদ্দীন, মো. আবীর হাসান আনন্দ, নুসরাত জাহান ফাতেমা, মো. জাহিদুল ইসলাম, সানাউল্লাহ, মো. মোবাসশিরুজ্জামান, সুমাইয়া বিনতে সাঈদ ও সায়েফ নূর মিতুল।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি ‘কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স সেল’ ও ২৯ জানুয়ারি ‘কৃষি ও পরিবেশবিষয়ক সেল’ অনুমোদন দিয়েছিল জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটি।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ