চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার একটি বাগান থেকে মাসুদ হাসান (২৫) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন।

মাসুদ হাসান বদনপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে এবং পেশায় কৃষক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেননি। বিকেল পরিবারের সদস্যরা তাঁর খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বদনপুর গ্রামের একটি বাগানে মাসুদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়। মাসুদের বাবা আজিজুর রহমান মরদেহটি তাঁর ছেলের বলে শনাক্ত করেন।

মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে পুলিশ সুপার খোন্দকার গোলাম মওলা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) কনক কুমার দাস, দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কনক কুমার দাস গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে জানান, নিহত যুবকের মাথায় একটি আঘাত দেখা গেছে। শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাত আছে কি না এবং মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ জানতে ঝিনাইদহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) খবর দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ