কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ছাত্র জনতার নানা বাধার মুখে মনোনয়ন ফরম কিনতে পারেননি আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের শেষ দিনে তারা ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি। 

জেলা আইনজীবী সমিতির ম্যানেজিং কমিটির সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ সেশনের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তারিখ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন ফরম জমা বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এবং যাচাই বাছাইও একই তারিখে। 

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ফরম সংগ্রহের (সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত) শেষ দিনে ছাত্র জনতার নানা বাঁধার মুখে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি আওয়ামীপন্থী আইনবজীবীরা। এছাড়া বিএনপিপন্থী অনেকেও মনোনয়নপত্র কিনতে পারেনি বলে অভিযোগ আইনজীবীদের। তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের সুযোগ দেন। 

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থী কয়েক জন আইনজীবী বলেন, “একটি প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করানোর জন্য এমনটি করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক মো.

আবু রায়হান বলেন, “গণহত্যার সঙ্গে জড়িত কোন লোক কোন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আর এখানে মুখোশ পরে আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি সেজে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন অথচ তারা আওয়ামী লীগ।”

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, “এখন পর্যন্ত কতজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা নেই। তবে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সমিতির নির্বাচন কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতিতে ফরম বিক্রি করা হয়।”

ফরম সংগ্রহ করতে গেলে বাঁধা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যে টাকা জমা দিয়ে ফরম নেয়ার জন্য আসছেন, তাকেই আমরা ফরম দিয়েছি।”

ঢাকা/রুবেল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষা ২৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার জন্য লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির পরামর্শ প্রকাশ করা হচ্ছে। আজ পঞ্চম পর্বে থাকছে বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ বিষয়ে প্রস্তুতির পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী রিয়াজুর রহমান।

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২ মূলত আইনজীবীদের পেশাজীবনের অনুসরণীয় বিধিমালা। এ আইন থেকে আইনজীবী তালিকাভুক্তি লিখিত পরীক্ষায় দুটি প্রশ্ন আসবে। উত্তর দিতে হবে একটি। নম্বর থাকবে ১০।

প্রশ্নপত্রের মানবণ্টন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আইনটি কেমন হতে পারে। মূলত বার কাউন্সিলের গঠন, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা এবং একজন আইনজীবী হিসেবে সমাজের প্রতি, মক্কেলের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি যেসব দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা এ আইনে বলা হয়েছে। বাস্তবধর্মী ও পেশাজীবনে অতি চর্চিত একটি আইন হলো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা ১৯৭২। এ আইন থেকে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

যেমন বার কাউন্সিল কীভাবে গঠিত হয়, বার কাউন্সিলের কার্যবালি কী, সদস্যরা কীভাবে নির্বাচিত হন, কতগুলো কমিটি রয়েছে, কমিটির কাজ কী কী—এগুলো পড়তে হবে। অনেকেই আছে বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোশিয়েশনের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। এটি ভালো করে রপ্ত করতে হবে। এমন প্রশ্ন হরহামেশা পরীক্ষায় আসে।

এ ছাড়া বার ট্রাইব্যুনালের গঠন ও কার্যাবলি, আইনজীবীদের পেশাগত অসদাচরণের জন্য কী কী ধরনের শাস্তি রয়েছে, বার কাউন্সিল কি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সুয়োমোটো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে—বিষয়গুলো কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। অনুচ্ছেদ ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩২ এবং বিধি ৪১, ৪১ক ও ৫০–এ এসব বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সেগুলো ভালো করে পড়তে হবে। অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, একজন আইনজীবী হিসেবে আরেক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তর জানতে হবে। এসব বিষয় থেকে নিয়মিত প্রশ্ন আসে।

পেশাগত বিধি অংশে রচনামূলক প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন পেশাগত বিধি এবং নীতিমালার আলোকে আদালতের প্রতি, মক্কেলের প্রতিসহ আইনজীবীদের প্রতি ও জনসাধারণের প্রতি একজন আইনজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পর্যালোচনা করতে বলা হয়। বর্তমান ঢাকা বারসহ বেশ কয়েকটি বার অ্যাসোশিয়েশনে এডহক কমিটি রয়েছে। এডহক বার কাউন্সিলের গঠন ও ফাংশনস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। এগুলো ভালো করে পড়তে হবে।

অনেক সময়ে আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরসংক্রান্ত মুসাবিদা করতে দেওয়া হয়। তাই এই মুসাবিদা নিয়মিত অনুশীলন করবেন। মনে রাখবেন, মামলার মুসাবিদা ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মুসাবিদার ধরন কিন্তু এক নয়। তাই যেকোনো ভালো একটি বই থেকে ফরমেটটি দেখে নেবেন এবং অনুশীলন করবেন। একই সঙ্গে বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন সমাধান করবেন। এ আইন থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন রিপিটও হয়।

একটি বিষয় মনে রাখবেন, আইনটি সহজ বলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। কারণ, কৃতকার্য হওয়ার জন্য এই ১০ নম্বর অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার কাউন্সিল আদেশ ও বিধিমালা যেভাবে পড়বেন
  • দণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে ১০ আসামির আপিল ও লিভ টু আপিল
  • যে ‘ধর্মীয় অনুপ্রেরণায়’ ইরানে এই হামলা চালাল ইসরায়েল
  • দক্ষিণ ভারতের নিষ্পেষিত মুসলিম নারীদের কণ্ঠস্বর