বাংলাবাজারে আগুনে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কেন্দ্র পুড়ে ছাই
Published: 20th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
রাজধানীর পুরান ঢাকার বাংলাবাজার বইয়ের দোকানে আগুন লেগে প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের একটি বিক্রয়কেন্দ্র পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাকিব আল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ ভোর ৬টা ৮মিনিটে আগুনের খবর পাই। সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের বাংলাবাজারের বিক্রয়কেন্দ্র পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার নাজমুল হাসান।
নাজমুল হাসান বলেন, এই একটি দোকানই পুড়েছে। দোকানে বই ছাড়াও দুটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও নগদ এক লাখের বেশি টাকা ছিল। পুড়ে যাওয়া বইয়ের দাম ধরলেও আনুমানিক ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আমরা যাচাই-বাছাই করলে বুঝতে পারব কীভাবে আগুন লেগেছে। সিটিটিভি ফুটেজ দেখলে বলতে পারব কী হয়েছে।
নাজমুল হাসান বলেন, আমরা ভোর ৫টার দিকে আগুনের খবর পাই। গিয়ে দেখি আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। খবর দেওয়া হলে ৫ মিনিটের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস চলে আসে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো হয়।
গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, গার্ডিয়ান প্রকাশনীর বাংলাবাজারের বিক্রয়কেন্দ্রটি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে এখনো পাইপের সাহায্যে পানি দিচ্ছেন।
ভিডিওতে দেখায় যায়, বিক্রয়কেন্দ্রের সব বই পুড়ে গেছে। সারি সারি তাকে সাজানো পোড়া বই। আর নিচেও বহু পোড়া বই পড়ে আছে।
এনজে
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ব ক রয়ক ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।