খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে সর্বশেষ সাফে বাংলাদেশের কন্টিনজেন্ট ছিল ৩২ জনের। তাঁদের সবাইকেই একুশে পদক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। কিন্তু সাফজয়ী প্রধান কোচ পিটার বাটলারই যাননি!

বাটলারের না যাওয়াই যেন বলে দিচ্ছে কোচ-ফুটবলার দ্বন্দ্ব এখনো পুরোপুরি মেটেনি। এ বিষয়ে আজ প্রথম আলোকে বাটলার বলেন, ‘সেখানে (একুশে পদকের অনুষ্ঠানে) না যাওয়ার পেছনে অনেক কারণই আছে।’ তবে সেই কারণগুলো আর বলতে চাননি এই ইংলিশ কোচ।

এ বিষয়ে জানতে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান তুষারকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি। আর কোচ বাটলারের না যাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি বাফুফের গভর্নমেন্ট রিলেশনস কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপি, ‘আসলে কোচ কেন যায়নি আমি বলতে পারব না।’

আরও পড়ুনসাফজয়ী সাবিনাদের হাতে মর্যাদার একুশে পদক১ ঘণ্টা আগে

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন আজ সকালে অনুশীলন সেশন থাকায় কোচ বাটলার আর যাননি। তা ছাড়া তিনি গেলে সাবিনারা কিছু মনে করতে পারেন এমন ধারণাও ছিল কোচের, ‘কোচ তো আমন্ত্রণ পেয়েছে। কিন্তু সকালে তাঁর অনুশীলন সেশন থাকায় আর যেতে চাননি। আমাকে সে বলেছে, ‘‘না তারা যাক। আমি গেলে আবার তারা (সাবিনারা) কী মনে করে। এটা তাদের অর্জন। তারাই উপভোগ করুক।’’’

সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে পিটার বাটলারকে পাঠানো একুশে পদকের আমন্ত্রণপত্র.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি: অপু বিশ্বাস

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন ও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি। এ পোস্টে অপু জানান, আর কোনো ‘অসুস্থ প্রতিযোগিতায়’ নেই। বরং নিজের সন্তান, কাজ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের পথেই হাঁটতে চান এই অভিনেত্রী। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত নিজের কাজ ও ব্যক্তিজীবনের কিছু মুহূর্ত ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন অপু বিশ্বাস। গতকাল (১৫ জুন) একটি স্ট্যাটাসের সঙ্গে সাবেক স্বামী শাকিব খান ও পুত্র আব্রাম খান জয়ের একটি ছবিও শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন, “সন্তানের সুন্দর শৈশবের জন্য বাবা-মা হিসেবে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এটা নিয়ে কেউ যদি অস্বস্তি বোধ করে, সেটা আমার দায় নয়।”

অন্য সাধারণ নারীর মতোই অপুর জীবন। এ তথ্য উল্লেখ করে অপু বিশ্বাস লেখেন, “আমি একজন মা, একজন অভিনেত্রী, একজন উদ্যোক্তা। ক্যামেরার বাইরে আমার জীবনটা অন্য সব নারীর মতোই—হাজারো কাজ, পরিকল্পনা আর স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলা। কাউকে কিছু প্রমাণ করার ইচ্ছা নেই। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় দর্শকদের সামনে কেটেছে। এখানে লুকোচুরি বা নাটকের কিছু নেই।”

অপু বিশ্বাসের দাবি, অসুস্থ কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। তার ভাষায়, “অনেকদিন ধরেই দেখছি, আমার কোনো সাধারণ পারিবারিক পোস্টের পরেই কাউন্টার পোস্ট বা প্রচেষ্টা দেখা যায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।”

কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অপু বিশ্বাস বলেন, “সম্মান অর্জন করতে হয় নিজের আচরণ দিয়ে, অন্যকে ছোট করে নয়। আমি কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে আসিনি। নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, পাশে থাকেন—আপনাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমি আপনাদের বিশ্বাস ভাঙতে চাই না। আর নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করে কারো সঙ্গে পা মেলাতে রাজি নই।”

অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর পাল্টাপাল্টি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই নায়িকাই চিত্রনায়ক শাকিব খানের সন্তানদের মা হওয়ায় ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে একে অপরকে লক্ষ্য করে মন্তব্য করছেন বলে অনেকের ধারণা।

অপু বিশ্বাস এবার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তার এই বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে এটি একটি পরিণত ও মর্যাদাপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ