মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আকরাম-ওয়াকারের কৌতূহল
Published: 21st, February 2025 GMT
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে নাহিদ রানাকে না খেলানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতীয়রা। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের কৌতূহল মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে।
৩৯ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন না বাংলাদেশ দলে। এ নিয়ে আকরাম-ইউনিস বলেছেন, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে রাখলে একাদশেও রাখা উচিত। যদিও তারা যে ভাবনা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন, বাস্তবতা ছিল তার উল্টো।
গতকাল রাতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পর ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড ড্রেসিং রুম’ অনুষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণে অংশ নেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলিং জুটি আকরাম ও ইউনিস। ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায় ও বিভিন্ন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একটা সময় আকরাম বলেন, ‘আমি একটা প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহ আছে। ৩৯ বছর বয়স, ভালো খেলোয়াড়। যদিও সম্প্রতি তাঁকে খেলতে দেখিনি। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে খেলানো হয়নি। আমার মতে সিনিয়র খেলোয়াড়দের যদি স্কোয়াডে নেওয়া হয়, তাহলে ম্যাচেও খেলানো উচিত। নইলে দলে একজন তরুণকে সুযোগ দিলেই হয়।’
আকরামের কথা সমর্থন করে পাকিস্তান দলে তাঁর পেস-বোলিং সঙ্গী ইউনিসও একই মন্তব্য করেন, ‘তরুণ ক্রিকেটাররা দেখিয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেট তাদেরই খেলা। মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে ঠিকই বলেছেন। একাদশে না রাখা হলে বেঞ্চে রাখার দরকাই নাই।’
আরও পড়ুনহৃদয় বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ, বললেন রমিজ রাজা১ ঘণ্টা আগেআকরাম-ইউনিসের কথায় বোঝা যায়, মাহমুদউল্লাহকে ফর্ম বা দলের সমন্বয়ের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নিয়েছেন তাঁরা। তবে বিষয়টা তার উল্টো। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর পর বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, দুবাইয়ে প্রথম অনুশীলনেই ডান পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়েছিল মাহমুদউল্লাহর। সেই চোট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে ভারতের বিপক্ষে খেলেননি।
ম্যাচের জন্য ফিট হয়ে ওঠার অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।