নাটোরের সিংড়ায় দুই ভাইয়ের বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন মিঠুন আলী (৩৩) নামের এক যুবক। 

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সিংড়া উপজেলার পেট্রোবাংলা এলাকায় মিঠুনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। মিঠুন আলী একই উপজেলার বিয়াশ আদিমপুর গ্রামের মৃত গোলাম আলীর ছেলে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান জানিয়েছেন, পেট্রোবাংলা এলাকার দুই ভাই নিশান ও নিক্সনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে নিশানের শ্যালক মিঠুন বিষয়টি মীমাংসার জন্য সেখানে যান। এ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় নিক্সন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মিঠুনকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওসি মমিনুজ্জামান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযুক্ত নিক্সনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/আরিফুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ

রাজধানীর আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে দুর্বৃত্তদের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য মোঃ জুবায়েদ হোসেন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদল।

সোমবার (২০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম। এ সময় ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভূবণ আহমেদ, মোতালিব, সুমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, “জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

আমিনুল ইসলাম বলেন, “জুবায়েদ ছিল আমাদের মতোই একজন ছাত্র একজন স্বপ্নবান তরুণ। তাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা কেবল একজন ছাত্র নয়, গোটা ছাত্র সমাজের ওপর আঘাত হেনেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই এই হত্যার বিচার না হলে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদলের একজন কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা প্রমাণ করেছে তারা মানুষের জান-মালের কোনো মূল্য দেয় না। এ ধরনের জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।” বিক্ষোভ শেষে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে একটি স্মারকলিপি ও প্রদান করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ