Samakal:
2025-11-03@17:25:26 GMT

খাওয়ার পরেই চা খাওয়া কি ঠিক?

Published: 22nd, February 2025 GMT

খাওয়ার পরেই চা খাওয়া কি ঠিক?

অনেকেই রয়েছেন যারা চা ছাড়া দিন শুরু করার কথা ভাবতেই পারেন না। কেউ কেউ দিনে একাধিক কাপ চা খান। চা খেলে শুধু ক্লান্ত ভাব কমে, এটা ঠিক নয়। বরং অতিরিক্ত চা পান শরীরের ক্ষতি করে।  অনেকের অভ্যাস খাবার খাওয়ার পরেই চা খাওয়ার । এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। এগুলি বড় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে থাকে। সেই সঙ্গে পেটে নানা সমস্যা হয়। খাবার খাওয়ার পর চা খেলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয়-

হজম ভালো হবে না
নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর চা খেলে পেটের ওপর চাপ পড়বে। এতে পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা হবে। চাতে থাকা ক্যাফেইন, ট্যানিন খাবারকে ভালোভাবে হজম করতে দেবে না। এর ফলে পেটে ব্যথা , গ্যাস হবে। সেই সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে থাকে। 

আয়রনের ঘাটতি
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে, শরীর খুব ক্লান্তি লাগবে। 

দাঁতের ক্ষয় হবে
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে দাঁত খারাপ হতে থাকবে। দাঁতের ক্ষতি হবে। চায়ে থাকা অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। এর ফলে দাঁতে ব্যথা হবে, মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে।


ঘুম ভালো হবে না
রাতে খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে রাতে ভালোভাবে ঘুম হবে না। মাথাব্যথা হতে পারে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে সকালে উঠে কোনও কাজ ঠিক করে করতে পারবেন না।

পেট ভার, বমি
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে পেট ভার থাকবে, বমি হতে পারে। পেটে গ্যাস হবে, এতে আপনার অস্বস্তি হতে থাকবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজম র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ