অনেকেই রয়েছেন যারা চা ছাড়া দিন শুরু করার কথা ভাবতেই পারেন না। কেউ কেউ দিনে একাধিক কাপ চা খান। চা খেলে শুধু ক্লান্ত ভাব কমে, এটা ঠিক নয়। বরং অতিরিক্ত চা পান শরীরের ক্ষতি করে। অনেকের অভ্যাস খাবার খাওয়ার পরেই চা খাওয়ার । এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য একদমই ভালো নয়। এগুলি বড় রোগের ঝুঁকি বাড়াতে থাকে। সেই সঙ্গে পেটে নানা সমস্যা হয়। খাবার খাওয়ার পর চা খেলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয়-
হজম ভালো হবে না
নিয়মিত খাবার খাওয়ার পর চা খেলে পেটের ওপর চাপ পড়বে। এতে পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা হবে। চাতে থাকা ক্যাফেইন, ট্যানিন খাবারকে ভালোভাবে হজম করতে দেবে না। এর ফলে পেটে ব্যথা , গ্যাস হবে। সেই সঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে থাকে।
আয়রনের ঘাটতি
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি হবে, শরীর খুব ক্লান্তি লাগবে।
দাঁতের ক্ষয় হবে
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে দাঁত খারাপ হতে থাকবে। দাঁতের ক্ষতি হবে। চায়ে থাকা অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। এর ফলে দাঁতে ব্যথা হবে, মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে।
ঘুম ভালো হবে না
রাতে খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে রাতে ভালোভাবে ঘুম হবে না। মাথাব্যথা হতে পারে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমালে সকালে উঠে কোনও কাজ ঠিক করে করতে পারবেন না।
পেট ভার, বমি
খাবার খাওয়ার পরেই চা খেলে পেট ভার থাকবে, বমি হতে পারে। পেটে গ্যাস হবে, এতে আপনার অস্বস্তি হতে থাকবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হজম র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।