দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ না করে ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি পেশাদারিত্বের সাথে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে সেনা সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।

সোমবার সাভার সেনানিবাসের ফায়ারিং রেঞ্জে আয়োজিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনীর প্রধান এসময় আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম যে দ্রুত কাজ শেষ করে ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যাবো, কিন্তু কাজটা দীর্ঘদিন ধরে করে যেতে হচ্ছে। তাই আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে এবং পেশাদারিত্বের সাথে কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। সুতরাং দেশ ও জাতির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে এবং যতদিন না পর্যন্ত একটা নির্বাচিত সরকার পেয়ে যাই, আমাদের এই কাজটি ধৈর্যের সাথে করে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ডেপ্লয়মেন্টের সময় উশৃঙ্খল কাজগুলো করা যাবে না, অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করার বিষয়ে নজর রাখতে হবে। বল প্রয়োগ করতে গেলেও অত্যন্ত পেশাদারিত্বের মাধ্যমে যত কম বল প্রয়োগ করা যায় ততই ভালো। আমরা সবাই যদি একসাথে কাজ করি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারব এই প্রত্যাশা করি।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে জেনারেল ওয়াকার উজ জামান বলেন, একজন সেনাসদস্যের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনে ফায়ারিংয়ে দক্ষতা অত্যন্ত জরুরি। এটা মৌলিক প্রশিক্ষণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা সেনাসদস্যদের কাঙ্ক্ষিত মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান নিজে ফায়ারে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান। ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় এবার প্রথম স্থান অর্জন করেন তেত্রিশ পদাতিক ডিভিশন এবং রানারআপ হয়েছে সাত বিগ্রেড ডিভিশন। ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সাভার সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মঈন খানসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।

জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’

কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ