বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রিফাত নবীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারে বাংলা লেখার কিবোর্ড ‘অভ্র’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একুশে পদক অর্জন করায় ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মঞ্জুর এলাহী’ মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক এম আশিক মোসাদ্দিক। অনুষ্ঠানে রিফাত নবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক হিসেবে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হয়।

রিফাত নবী বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকেই তাঁর প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহ জন্মে। সে আগ্রহ থেকেই অভ্র দলে কাজ করা শুরু। জীবনে কখন কী কাজে লাগে আগে থেকে বলা যায় না, সে জন্য নিজের ভালো লাগার বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ছবি: বিজ্ঞপ্তি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ