নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দাপা এলাকায় নিখোঁজের একদিন পর বাইজিদ আকন্দ (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ফতুল্লা রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি ইটভাটার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম।

পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতা বা টাকা-পয়সার লেনদেনের জেরে শিশুটিকে হত্যা করেছে ফেরদৌস আলী নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত বায়েজিদের বাবা সাইফুল ইসলাম আপন বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাইজিদ নিখোঁজ হয়। এরপর আমি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায় এবং ফতুল্লা একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

পুলিশ জানায়, সাইফুলের বাড়ির পাশের ভাড়াটিয়া ফেরদৌস আলীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের  জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফেরদৌস স্বীকার করে শিশুটিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রেললাইন সংলগ্ন ইটভাটার পাশে একটি নির্জন স্থানে ফেলে দেয় সে। পরে তার দেখানো মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে বাইজিদের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, কী কারনে শিশুটিকে হত্যা করা হলো সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ধারণা, আর্থিক লেনদেন অথবা পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতেই ফেরদৌস আলী শিশুটাকে হত্যা করেছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব ইজ দ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ

ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতি পথে যমুনা সেতু-সংলগ্ন মহাসড়কে তীব্র যানজট। তাই অনেকে পাবনার কাজীরহাট ফেরিঘাট দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাটে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন পারাপার হচ্ছে। আগের ৪টি ফেরির সঙ্গে আরও ২টি যুক্ত হওয়ায় এই নৌপথে মোট ৬টি ফেরি চলাচল করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ও বাস কাউন্টারগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে যানজট শুরু হয়। শুক্র ও গতকাল শনিবার যানজট তীব্রতর হয়। এর মধ্যে শনিবারের যানজটে পাবনা-ঢাকা পথে যাতায়াতকারী অনেক বাস আটকে পড়ে। এতে পাবনা, বেড়াসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারে ঢাকাগামী বাসের সংকট দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকাগামী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথের ফেরি পারাপার বেছে নেয়। এতে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত কাজীরহাট ফেরিঘাটে ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের চাপ আছে।

বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আগে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে ৪টি ফেরি চলাচল করত। ঈদ উপলক্ষে এখন আরও ২টি ফেরি বাড়িয়ে মোট ৬টি ফেরি করা হয়েছে। এগুলো হলো ২টি রো রো ফেরি শাহ আলী ও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এবং ৪টি সেমি রো রো ফেরি বাইগার, গৌরী, চিত্রা ও ধানসিঁড়ি। এই ৬টি ফেরি দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহনের চাপ সামলানো যাচ্ছে। বাসসহ যানবাহনগুলোকে ফেরিঘাটে বেশি দেরি করতে হচ্ছে না।’

কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকামুখী আলহামরা পরিবহনের যাত্রী আবু হানিফ বলেন, ফেরিতে ওঠানামা মিলিয়ে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। আর আরিচা থেকে ঢাকা পর্যন্ত তেমন যানজট ছিল না। খুব ভালোভাবে ঢাকা পৌঁছাতে পেরেছেন। অথচ আরও দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও তাঁর পরিচিত একটি পরিবারকে যমুনা সেতু-সংলগ্ন সড়কে ৫-৬ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

বিআইডব্লিউটিসির কাজীরহাট ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাপ ছিল শনিবার। আমাদের বেশ বেগ পোহাতে হলেও যানবাহনগুলো ভালোভাবে পার করে দিয়েছি। শনিবার আমাদের এই ঘাট হয়ে ফেরিতে ১০১টি বাস, ৪০১টি ছোট গাড়ি ও ৮০টি ট্রাক পার হয়েছে। আর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫টি বাস, ১৬টি ট্রাক, ৪২টি ছোট গাড়ি ও ২০০টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে।’

বেড়া ও ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আলহামরা পরিবহনের বেড়া শাখার ব্যবস্থাপক বরকত আলী বলেন, ‘যমুনা সেতুর যানজটে আমাদের কয়েকটি বাস এখনো আটকে আছে। এতে নির্ধারিত সময়ে শুধু আমাদের বাসই নয়, অন্য কোম্পানির বাসগুলোও ঢাকার উদ্দেশে ছাড়তে পারছে না। আর কোনো বাস ঢাকা থেকে বেড়া এসে পৌঁছানোর পর সেই বাস এখন থেকে আমরা কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছি। বতর্মান অবস্থায় এই পথে যাতায়াতে যাত্রীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ