এসএমইদের মূলধারায় আনার কাজ চলছে: গভর্নর
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) ঋণের পরিমাণ কেন বাড়ছে না সেটি পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে এসএমইদের আর্থিক কাঠামোর মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছেন তারা।
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আজ বুধবার ‘নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ঋণমান নির্ধারণ ও ক্ষুদ্রঋণ’ বিষয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর। এসএমই ফাউন্ডেশন ও এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশে ডেটার মূল্যায়ন খুবই কম। এ কারণে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। এই পরিস্থিতি কাটাতে হলে আমাদের প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। শিগগিরই হয়তো আমরা সেদিকে যাব।
আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এমএফআই) নারীর অংশগ্রহণ অনেক বেশি থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং কাঠামোতে নারীর অংশগ্রহণ বেশি দেখা যায় না। এর পেছনে আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষাগত অনেক বাধা রয়েছে। আমরা এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ অন্তত ৫০ শতাংশ বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, সেটি ভেবে দেখছি। এটি করা গেলে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকিং–পদ্ধতিকে একেবারে মানুষের ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো.
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ ছাড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ঋণমান নির্ধারণপদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ডিএমডি মো. নাজিম হোসেন সাত্তার জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসএমই ফাউন্ডেশন দেশের প্রায় ১০ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তার মধে৵ সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, ঋণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার প্রায় ২৫ শতাংশ নারী।
কর্মশালায় জানানো হয়, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জামানত, গ্যারান্টি ও আর্থিক রেকর্ডের ওপর নির্ভর করে থাকে। এসব শর্ত পূরণ করতে না পারায় ঋণ পেতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা; বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২ উপদেষ্টার গড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে গতিরোধ করা, সরকারি কাজে বাধা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রোববার রাতে গোয়ানঘাট থানায় ১৫০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন থানার এসআই ওবায়েদ উল্লাহ। মামলার পর সোমবার ভোরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মামলার ৬নং আসামি কালিনগরের দেলোয়ার হোসেন দুলু, মোহাম্মদপুরের শাহজাহান মিয়া ও ছৈলাখেল অষ্টম খন্ডের বাসিন্দা ফারুক আহমেদ।
শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা ফেরার পথে জাফলং পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে বিএনপির সংগঠনের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে দুই উপদেষ্টার আটকে নানান স্লোগানে বিক্ষোভ করা হয়। ঘটনার পর গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার ও জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আজির উদ্দিনকে শোকজ করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে জানান, গতকাল রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সদ্য বহিষ্কৃত গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে। দ্বিতীয় আসামি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সোহেল আহমদ, ওমর ফারুক, সুমন শিকদার, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুস সালাম ও আব্দুল জলিল।