এশিয়ান স্টার্সের হয়ে খেলবেন সাকিব
Published: 28th, February 2025 GMT
আসন্ন এশিয়ান লিজেন্ডস লিগে এশিয়ান স্টার্সের হয়ে খেলতে দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। পাঁচ দলের এই প্রতিযোগিতা শুরু হবে আগামী ১০ মার্চ, আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মার্চ।
টুর্নামেন্টে অংশ নেবে পাঁচটি দল—বাংলাদেশ টাইগার্স, ইন্ডিয়ান রয়্যালস, আফগানিস্তান পাঠানস, শ্রীলঙ্কান লায়ন্স এবং এশিয়ান স্টার্স। বাংলাদেশ টাইগার্স দলের নেতৃত্বে থাকবেন মোহাম্মদ আশরাফুল, যেখানে দলে রয়েছেন তামিম ইকবাল, নাদিফ চৌধুরী, ধীমান ঘোষ এবং জুবায়ের হোসেন লিখনের মতো ক্রিকেটাররা। অন্যদিকে, এশিয়ান স্টার্সের স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ টাইগার্সের হয়ে খেলার আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত এশিয়ান স্টার্সের হয়ে মাঠে নামবেন সাকিব। তার সতীর্থ হিসেবে থাকবেন দিলশান মুনাবীরা, কেদার যাদব, সৌরভ তিওয়ারি, হামিদ হাসান, সেকুগে প্রসন্ন ও শিহান জয়সুরিয়ার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
১০ মার্চ উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তান পাঠানসের মুখোমুখি হবে এশিয়ান স্টার্স। এছাড়া, ১২ মার্চ বাংলাদেশ টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিবের দল। রাজস্থানের মিরাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ।
View this post on InstagramA post shared by Sportskeeda Cricket (@sportskeedacricket)
এশিয়ান স্টার্স স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান, দিলশান মুনাবীরা, সৌরভ তিওয়ারি, লাহিরু থিরিমান্নে, মেহেরান খান, কেদার যাদব, শিহান জয়সুরিয়া, আয়ান খান, মাহবুব আলম, শাহবাজ নাদীম, সেকুগে প্রসন্ন, পারভিন্দর আওয়ানা, হাসতি গুল, হামিদ হাসান, অভিমন্যু মিঠুন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।
মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।
জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।
এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।
ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগেফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে