সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গণসংগীতশিল্পী ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এপোলো জামালী (আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামালী) মারা গেছেন। রোববার (২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

দীর্ঘদিন তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের সমস্যায় অসুস্থ ছিলেন।

এপোলো জামালী জীবনের ৪৫ বছর বিপ্লবী রাজনৈতিক তৎপরতায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। গণসংস্কৃতি ফ্রন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি অনেক জনপ্রিয় গণসংগীতের রচয়িতা, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। যেকোনো দুর্যোগে তিনি সর্বস্ব উজাড় করে গণমানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

দল ও পরিবারের সিদ্ধান্তে এপোলো জামালীর মরদেহ বার্ডেমের শবাধারে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বিদেশ থেকে ফিরলে আগামী ৭ মার্চ সকাল ১০টায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ