রাবির ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বিভ্রাট, ভোগান্তিতে ভর্তিচ্ছুরা
Published: 5th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও অনেকেই পেয়েছেন প্রত্যাশার চেয়ে ভিন্ন কেন্দ্র।
কেন্দ্র চয়েজ করেও অনেক শিক্ষার্থীর সিট পড়েছে অন্য বিভাগে। ফলে চরম ভোগান্তিতে তারা। দূরবর্তী কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাড়তি খরচ ও যাত্রার বিড়ম্বনায় হতাশ তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্র সংকট ও মেরিট অনুযায়ী সিট নির্ধারণের কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাবিতে অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া সমন্বকের অপসারণ দাবি
বসন্তের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাবি
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, অন্য বিভাগে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হলে বিকেন্দ্রীকরণের কোন প্রয়োজনীয়তা ছিল না। এটা তো আরো বেশি ভোগান্তি।
আইসিটি সেন্টারের তথ্য মতে, এ বছর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৯৬ হাজার ১৬২ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৪২ হাজার ৪৩৩ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৯৮ হাজার ৮২০ জন চূড়ান্ত আবেদন করেছেন। তবে অভিন্ন পরীক্ষার্থী সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৪ জন।
পাঁচ বিভাগীয় শহরে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে আটটি। এদের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ৭০০টি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী স্কুলে শুধু ‘সি’ ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত আসন ১ হাজার ৮০৮টি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৬৩টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হাজার ৫০টি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩ হাজার ৮০টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ হাজার ২০০টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ হাজার ৪১৯টি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৩০০টি পরীক্ষা নেওয়ার আসন রয়েছে।
মনোরঞ্জন সাহা নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, “আমার বাসা দিনাজপুরে। প্রথম চয়েস ছিল রংপুর, তারপর রাজশাহী। কিন্তু আমার আসছে চট্টগ্রামে। এখন আমরা অতদূরে কিভাবে যাব? আসলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে ফাজলামি শুরু করেছে।”
এবি মোমেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি থাকছি ঠাকুরগাঁও, পরীক্ষা কেন্দ্রের চয়েস লিস্টে রাবিতে রাখলেও সিট পড়েছে চবিতে। এতদূর যাওয়া আমার জন্য কঠিন। কিভাবে যাব বা কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না। এটি সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। যাওয়া-আসার খরচ চিন্তা করলেই পরীক্ষা দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক ড.
সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহা. মাঈন উদ্দীন বলেন, “বিষয়টি জেনেছি। আইসিটি সেন্টারের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে কিভাবে সমস্যাটা সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গড়তে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশু করণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’
‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।