গাজায় ঢুকছে না খাদ্য সহায়তা, অভুক্ত থাকার শঙ্কা
Published: 7th, March 2025 GMT
ইসরায়েলের বাধায় টানা ছয় দিন ধরে কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা ঢোকেনি গাজায়। এতে খাদ্য সংকটে হাহাকার পড়ে গেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে। খাদ্য বিতরণ করা সংস্থাগুলোর নির্দিষ্ট জায়গাগুলোতে ভিড় করছে ক্ষুধার্ত শিশুসহ অন্যরাও। বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় বরাদ্দকৃত শত শত মিলিয়ন ডলারের সহায়তা তহবিল স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।
এ পরিস্থিতিতে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের প্রতিরোধ বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রয়েছে। তবে গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থাপনার জন্য মিসর ও আরব নেতাদের দেওয়া প্রস্তাবকে ‘অপর্যাপ্ত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ হাজার ৪৪০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ১১ হাজার ৮৪৫ জন আহত হয়েছেন। তবে, গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬২ হাজার।
যুক্তরাষ্ট্র-হামাস গোপন বৈঠকে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল
সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠক করেছেন ট্রাম্পের দূত অ্যাডাম বোহলার ও হামাসের শীর্ষ নেতা খালিল আল-হাইয়া। তবে এ আলোচনা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। আলজাজিরা জানায়, এ বৈঠকে মূলত ২১ বছর বয়সী আমেরিকান বন্দি ইডান আলেকজান্ডারের মুক্তি এবং চার মার্কিন নাগরিকের মরদেহ ফেরত আনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে, ইসরায়েলকে এ বিষয়ে জানানো হয়নি।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ১৬টি ভবন ধ্বংস করেছে। এর আগে তুলকারেম ও জেনিন অঞ্চলেও বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরগুলো স্থায়ীভাবে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে