মৃত বাবার মাসিক পেনশনের অংশ পাবেন তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে
Published: 12th, March 2025 GMT
তালাকপ্রাপ্ত মেয়েরাও মৃত বাবার মাসিক পেনশনের অংশ পাওয়ার অধিকারী হবেন এমন ঐতিহাসিক রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের সিন্ধু হাইকোর্ট (এসএইচসি)। আদালত রায়ে বলেন, তালাকপ্রাপ্ত মেয়েরা পুনরায় বিয়ে না করা পর্যন্ত তারা এই সুবিধা পেতে থাকবেন।
বুধবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সিন্ধু হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ করিম খান ও বিচারপতি নিসার আহমেদ ভানভ্রো সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালত পেনশনভোগী মৃত ব্যক্তিদের তালাকপ্রাপ্ত ও বিধবা কন্যাদের দুর্দশার বিষয়টি বিবেচনা করে পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১৯৮৩ সালের সংশোধিত পেনশন নিয়মের ভিত্তিতে এই আদেশ দেন।
আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, মৃত পেনশনভোগীর মাসিক পেনশনের একটি অংশ তালাকপ্রাপ্ত কন্যা ও অন্যান্য অবিবাহিত/বিধবা কন্যাদের মধ্যে চার মাসের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।
এই রায় এসেছে সারওয়াত গাজী উদ্দিন নামের এক তালাকপ্রাপ্ত নারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। তিনি সিন্ধু হাইকোর্টে মামলা করে জানান, তার বাবা ১৯৯০ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মৃত্যুবরণ করেন।
তার দাবি ছিল, তালাকপ্রাপ্ত কন্যা হওয়ায় তিনি ও তার অবিবাহিত বোন সমান ভাগে মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ তাদের এই সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
দীর্ঘ শুনানির পর আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করে এবং কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পেনশনের অংশ বণ্টনের নির্দেশ দেয়।
এই রায় পাকিস্তানে নারীদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি তালাকপ্রাপ্ত নারীদের অর্থনৈতিক দুর্দশা লাঘবে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যতে আরও নারী পেনশনভোগীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প নশন স ব ধ ম স ক প নশন প নশন র
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।