‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক’ সন্ত্রাসী নিহত
Published: 14th, March 2025 GMT
‘ইরাক এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসীদের অন্যতম’ ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা নিহত হয়েছেন। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি জানিয়েছেন, আবদুল্লাহ মক্কি মুসলিহ আল-রুফায়ি, যিনি আবু খাদিজা নামেও পরিচিত, তিনি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সহায়তায় ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।
ইসলামিক স্টেট বছরের পর বছর ধরে সিরিয়া ও ইরাকের লাখ লাখ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম এবং এশিয়ায় পুনরায় ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।
২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার এক-চতুর্থাংশ এলাকাজুড়ে খিলাফত ঘোষণা করেন আইএসের সাবেক নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি। এরপর ২০১৯ সালে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হন। এই অভিযানে গোষ্ঠীটি ভেঙে পড়ে। গত জুলাই মাসে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, গোষ্ঠীট সম্প্রতি ‘পুনর্গঠনের’ চেষ্টা করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারীরা কেন পুরুষদের তুলনায় বেশিবার প্রস্রাব করেন?
একজন পুরুষ মূত্রথলিতে অনায়াসে ৪০০ থেকে ৬০০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধারন করতে পারে। একজন নারীরও এই সক্ষমতা রয়েছে। তারপরেও নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব করে। এর পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, ‘‘মূত্রথলির ধারণ ক্ষমতা এক হলে এর চারপাশে যেসব অঙ্গ থাকে, তা প্রস্রাব লাগার অনুভূতিতে পার্থক্য তৈরি করে। আর এখান থেকেই নারী ও পুরুষের মূত্রথলির পার্থক্যের শুরু।পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, মূত্রথলি প্রোস্টেটের ওপরে এবং রেকটামের (মলদ্বারের) সামনে থাকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি একটি অপেক্ষাকৃত সংকীর্ণ পেলভিক অঞ্চলে থাকে।’’
নারীরা গর্ভাবস্থায় বার বার প্রস্রাব করেন। এই সময়ে জরায়ু মূত্রথলিকে চেপে ধরে। আর সেকারণেই শেষ তিন মাসে নারীদের প্রায় প্রতি ২০ মিনিট পরপর বাথরুমে যেতে হয়।
আরো পড়ুন:
প্রতিদিন এন্টাসিড খাচ্ছেন? কোন কোন রোগ হতে পারে জেনে নিন
যেসব রোগ থাকলে ডাবের পানি পান করা উচিত নয়
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তুলনামূলকভাবে কম প্রস্রাব জমলেই মূত্রথলি ভর্তি হওয়ার অনুভব পেতে পারেন। এর কারণ হরমোনের প্রভাব। তাছাড়া সংবেদনশীলতার কারণেও এমন হয়।
নারীদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসব, হরমোন পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন নারীদের মূত্রথলির ‘ধরে রাখা’ ও ‘ছাড়ার’ মধ্যে নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য নষ্ট হয়।মূত্রনালীর শেষপ্রান্তে থাকা স্পিঙ্কটার নামের পেশিটি তার শক্তি হারাতে পারে বলে বার বার প্রস্রাব হতে পারে।
নারীরা ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ইচছাকৃতভাবে প্রস্রাব করেন। যাতে বাইরে গেলে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে না নয়। এটা এক রকম সংস্কৃতি। এমনকি ছোট শিশু মেয়েকেও এই শিক্ষাই দেওয়া হয়। যার ফলে এক ধরণের সংবেদনশীলতা তৈরি হয়ে যায়। এই সংবেদনশীলতাও বার বার প্রস্রাব হওয়ার একটি কারণ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘পুরুষের চেয়ে নারীর বার বার প্রস্রাব হওয়ার পেছনে ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা বা ছোট মূত্রথলির ব্যাপার নেই। বরং এটি শরীরের গঠন, অভ্যাস আর হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে।’’
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি