আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বন্দরে শতাধিক স্পটে মাদক ব্যবসা জমে উঠেছে
Published: 16th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বন্দরে শতাধিক মাদক স্পটে মাদকদ্রব্য বেঁচা কেনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিটি মাদক স্পটে হাত বারালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য। এমন কথা জানিয়েছে বন্দরে সচেতন মহল।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে বন্দরে চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
প্রতিরাতে বন্দরে মদনগঞ্জ শান্তিনগর, মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মাহমুদনগর, দড়ি সোনাকান্দা, সোনাকান্দা নোয়াদ্দা, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড, বন্দর রুপালী, সালেহনগর, শাহীমসজিদ, হাফেজীবাগ, নূরবাগ, চিতাশাল, স্বল্পের চক, একরামপুর সুইপার কলোনি, ইস্পাহানী, কাইতাখালী, দেউলী চৌরাপাড়া, লক্ষনখোলা, রামনগর, সোনাচড়া, মুরাদপুর, ফুলহর, লাঙ্গলবন্ধ, চিড়াইপাড়া, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ীসহ বন্দর উপজেলার প্রায় শতাধিক মাদক স্পটে জমে উঠেছে মাদকের হাট।
প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখিত মাদক স্পটে চলে মাদক বেঁচাকেনা। মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে বন্দরে বিভিন্ন স্থানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সাথে আইন শৃঙ্খলা ব্যাপক অবনতি ঘটছে ।
এ ব্যাপারে বন্দরে সচেতন মহল জানিয়েছে, বন্দরে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ার কারনে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। ৫ আগস্টের পর থেকে উল্লেখিত এলাকার চিহৃিত মাদক ব্যবসায়ীরা এক চাটিয়ে মাদক ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
পুলিশিং কার্যক্রম সিথিল থাকার কারনে প্রতিটি মাদকস্পটে প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য বন্দরে সচেতন মহল যৌথ বাহিনী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দরে সচেতন মহল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ঈদ
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতার অনুসারীদের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে শহরের মজমপুর রেলগেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
সেখানে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করেন। এ ছাড়া সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, সোহরাব উদ্দিন কুষ্টিয়া-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বদলে এখানে অন্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। তাই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সোহরাব উদ্দিনকে পুনরায় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জাকির হোসেন সরকার।
এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শুনেছি আমার সমর্থকেরা বিক্ষোভ করছেন। আমি শহরের বাইরে আছি।’ এর বেশি কথা বলেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যিনি মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবে এ নির্দেশনা যদি কেউ না মানেন, তাহলে কেন্দ্র ব্যবস্থা নেবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হাসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণ করেছি।’
কুষ্টিয়ার অন্য তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভোড়ামারা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমি।