অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ৮ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 17th, March 2025 GMT
ঝিনাইদহে চারটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দুটি ইটভাটাকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা ও দুটি ইটভাটাকে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বাড়িবাথান ও মহারাজপুর ইউনিয়নের খড়িখালি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সালেক মুহিদ এ আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অংশ নেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার ২ দালালের কারাদণ্ড
হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় শ্রমিকের কারাদণ্ড
অভিযানে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ লঙ্ঘণের দায়ে পাগলাকানাই ইউনিয়নের বাড়িবাথান গ্রামের মিজানুর রহমান মাসুমের মালিকানাধীন এমএমআর ব্রিকস ও ইউনূস আলীর মালিকানাধীন এসএসবি ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা করে মোট ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উভয় ইটভাটাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের একতা ব্রিকস ও ভাই ভাই ব্রিকসে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মুন্তাসির রহমান বলেন, “আজ দুটি ইটভাটায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুটি ইটভাটাকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার সব অবৈধ ইটভাটায় পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
ঝিনাইদহ/শাহরিয়ার/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইট ভ ট ইটভ ট ক ইটভ ট য়
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।