‘ডাইক্যা ডাইক্যাও যাত্রী পাচ্ছি না’
Published: 28th, March 2025 GMT
এবার ঈদের ছুটিতে ঘরে ফেরা মানুষ রাজধানীর ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে কিছুটা ভিন্ন চিত্র পাবেন। বিশেষ করে নন কাউন্টার যাত্রীবাহী বাসগুলো ভুগছে যাত্রী খড়ায়। অন্যান্য বছরের তুলনায় ঈদের এ সময়ের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। নেই যাত্রীর মাত্রাতিরিক্ত চাপ। পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘ডাইক্যা ডাইক্যাও যাত্রী পাচ্ছি না।’
শুক্রবার (২৮ মার্চ) ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে মুন্সিগঞ্জ, ভাঙ্গা, বরিশালগামী বাসগুলো। পরিবহনের লোকজন হাঁকডাক দিচ্ছেন যাত্রীর জন্য। বাস যাত্রীপূর্ণ করতে সময়ও লাগছে বেশ।
গুলিস্তান টু বালিগাঁও রুটের ‘ইলিশ’ পরিবহনের রিয়াদ হতাশার সুরে বললেন, ‘‘যাত্রী নাই। সকাল থেকেই একই অবস্থা। ডাইক্যা ডাইক্যাও যাত্রী পাচ্ছি না। ভাঙ্গা, বরিশালের যাত্রীর চাপ একটু বেশি। তবে অন্য বছরের মতো না।’’
‘‘বিকেলের দিকে যাত্রীর চাপ কিছুটা বাড়তে পারে। ছুটি এবার আগে শুরু হইছে। এ কারণে যাত্রী কম।’’ রিয়াদের এমনটাই ধারণা।
ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রিয়াদ বলেন, ‘‘নাহ্ বেশি নেই না। একশ টাকা ভাড়া, একশ ২০ নিচ্ছি। ২০ ঈদের সেলামি।’’
বালিগাঁও যাবেন আমির হোসেন। বললেন, ‘‘টিকিট কেটে রাখিনি। বাস ফ্রি আছে। যাত্রী তেমন নাই, তাই বাস ছাড়তে সময় লাগছে। ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। যেতে তো হবে।’’
মামুন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’