গুলির মধ্যে ঈদের নামাজ আদায় গাজাবাসীর
Published: 30th, March 2025 GMT
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের দিনটিতেও ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে,যাদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু। সকালে গোলাগুলির মুখেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজার বাসিন্দারা। আবার যারা নামাজ শেষে নিহত স্বজনদের স্মরণে কবরস্থানে গিয়েছিলেন তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। খবর আল-জাজিরা অনলাইন।
শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় রবিবার ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ইসরায়েলি হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের মাঝেই রবিবার ঈদের নামাজ আদায় করেন গাজার মুসলিমরা।
ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্রের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নামাজের সময় গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
ঈদের সকালে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে নয়জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও রয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ঈদুল ফিতরে জেনিন কবরস্থানে প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসময় বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।