চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত ৮ জন।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মতিন।

উপপরিদর্শক আবদুল মতিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। স্থানীয়দের সহায়তায় লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

পুলিশের তথ্য অনুসারে, যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মিনিবাসটি কক্সবাজারের দিক থেকে লোহাগাড়ায় আসছিল। আর সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো.

আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।

পুলিশের তথ্য অনুসারে, যাত্রীবাহী সৌদিয়া পরিবহনের সঙ্গে একটি বাসের সঙ্গে আরেকটি মিনি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মিনিবাসটি কক্সবাজারের দিক থেকে লোহাগাড়ায় আসছিল। আর সৌদিয়া পরিবহনের বাসটি কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের আধার মানিক এলাকার মো. আলমের ছেলে রিফাত হোসেন (১৯), একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরফাত হোসেন (২১), একই ইউনিয়নের চকোরিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নাজিম উদ্দিন (২৫), একই উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ি মৌলভী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে জিসান হোসেন (২২) ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেলিপাড়া এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে মো. সিদ্দিক (২০)।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর বহন র এল ক র ম উপজ ল র র আম র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও দেড় শ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থার উপপরিচালক মো. আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ১ হাজার ১৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা নিজের দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান নূরের নামে থাকা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ১৯টি হিসাবে ১৫৮ কোটি ৭৮ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ২০০৩-০৪ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আসাদুজ্জামান নূরের বৈধ আয় ছিল ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮ টাকা। এ সময়ে তাঁর পারিবারিক ব্যয় ছিল ৯ কোটি ৩২ লাখ ২৫ হাজার ৭৬১ টাকা। সে অনুযায়ী নিট সঞ্চয় দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৬৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯২৭ টাকা। অথচ তাঁর অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৭ টাকা। এতে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার উৎস পাওয়া যায়নি বলে দুদক জানিয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান নূরের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৮৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৩ টাকা জমা এবং ৭৩ কোটি ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। এসব লেনদেনের উৎস অস্পষ্ট।

২০০১ সালে নীলফামারী-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আসাদুজ্জামান নূর। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বিরুদ্ধে একে একে মামলা ও গ্রেপ্তার শুরু করে দুদক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে নিজ বাসা থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
  • জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা